চলছে খাবার পরিবেশন। প্রতীকী চিত্র।
মিড-ডে মিলের (পিএম পোষণ) পরিস্থিতি দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তার আগেই জেলা প্রশাসন, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা এক দফা করে স্কুলে স্কুলে মিড-ডে মিলের পরিস্থিতি খুঁটিয়ে দেখে নিয়েছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আরও এক দফা স্কুলগুলি পরিদর্শন করা হচ্ছে। কোনও ব্লকে দ্বিতীয় দফায় পরিদর্শনের কাজও সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, জেলায় মোট ৪১১৬টি স্কুলে মিড-ডে মিল দেওয়া হয়। ওই স্কুলগুলে ইতিমধ্যেই আধিকারিকেরা মিড-ডে মিলের চার্ট আছে কি না, মাসে মাসে মিড-ডে মিলের জন্য স্কুলের যে অর্থ বরাদ্দ করা হয় তার রেজিস্টার খাতা ঠিকঠাক আছে কি না, স্কুলের মিড-ডে মিলের লোগো ঠিকঠাক আছে কি না, চাল, ডাল যেখানে রাখা হয় সেই জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আছে কি না ইত্যাদি বিষয় দেখা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে নদিয়া জেলায় আসবে কি না শনিবার পর্যন্ত রাজ্য থেকে জানানো হয়নি। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলছেন, “আমরা একশো শতাংশ প্রস্তুত আছি।”
জেলার বিভিন্ন স্কুলে মিড-ডে মিল রান্নার ঘরের ছাদ নেই বলে জানা যাচ্ছে জেলা প্রশাসন সূত্রে। আবার কোনও কোনটাতে টালির ছাদের অবস্থাও শোচনীয়। তড়িঘড়ি করে সেগুলোতে ঠিকঠাক করার কাজও শুরু হয়েছে। আর যেখানে আগে কোনও ছাদই ছিল না, সেখানে ত্রিপল টাঙানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মিড-ডে মিলের প্রকল্পে কেন্দ্র ৬০ শতাংশ আর রাজ্য ৪০ শতাংশ দেয়। এই সময় ৯ জানুয়ারি থেকে ২৯ এপ্রিল ১৬ সপ্তাহের জন্য অতিরিক্ত পুষ্টির জন্য আলাদা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে বিভিন্ন স্কুল সূত্রে। স্কুলগুলোর দাবি, শুধু চার মাসই নয়, সারা বছরই এই অতিরিক্ত বরাদ্দ থাকলে ভাল হয়। সেক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের সঠিক পুষ্টির জোগান দেওয়া সম্ভব হবে। অন্য সময় মাথা পিছু যে বরাদ্দ পাওয়া যায়, তাতে সঠিক পারিমাণে পুষ্টির জোগান দেওয়া সম্ভব হয় না।
জেলা প্রশাসনের আর এক কর্তা বলছেন, মূলত মিড-ডে মিলের পুষ্টির গুণগত মান কেমন আছে বা গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেগুলোই দেখতেই আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সোমবার রাজ্যে আসছে প্রতিনিধি দল। নদিয়া জেলায় আসছে কি না সে সম্পর্কে শনিবার সন্ধ্যায় জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি বলেন, “এই জেলার জন্য আমরা এখনও পর্যন্ত সে রকম তালিকা পাইনি।”