বাবা-মায়ের কাছে। নিজস্ব চিত্র।
প্রায় পনেরো বছর পরে নিজের বাবা-মায়ের কাছে গেল এক নাবালিকা। ভুল বোঝাবুঝি ও কিছু সমস্যার কারণে দীর্ঘ দিন ধরে অন্য একটি পরিবারের কাছে মানুষ হচ্ছিল ওই নাবালিকা। ওই পরিবার নিরাশ্রয় নাবালিকাকে দত্তক নিয়েছিল। কিন্তু তার নিজের বাবা-মায়ের কাছে ফেরত যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে সেই পরিবারির আশ্রয় থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে নাবালিকাটি। তখন সে অন্য একটি পরিবারের আশ্রয় পেয়েছিল। তার নিজের বাবা-মায়ের খোঁজও চলছিল। সে খোঁজও চলছিল। সেই খোঁজ পেয়ে মধ্যস্থতা করে সেই অসহায় নাবালিকা মেয়েকে তার বাবার কাছে ফেরত পাঠাল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। রবিবার ফরাক্কার পাঁচুলিগ্রামে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। নিজের মেয়েকে ফেরত পেয়ে খুশি উভয় পরিবার।
জানা গিয়েছে, ফারাক্কার পাঁচুলিগ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে রোজিনা খাতুনকে দুবছরের শিশু থাকা অবস্থায় অরঙ্গাবাদের শান্তিপুর গ্রামের মামলত শেখ নামে এক ব্যক্তি দত্তক নেন। কিন্তু পারিপার্শ্বিক কিছু সমস্যার কারণে ১২ বছর বয়সে সেই কিশোরী আবার নিরাশ্রয় হয়ে যায়। ভুল বোঝাবুঝির কারণে দত্তক পরিবার ও তার জন্মদাতা পিতামাতা দু’য়ের কাছ থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে অসহায় হয়ে অন্যের বাড়িতে বসবাস শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে তৎপরতা শুরু করে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফিটু শেখ। তারপরেই মধ্যস্থতা করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনায় খুশি উভয়পক্ষ।
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার নিজের গ্রাম কোথায় সে কথাটা আন্দাজ করা গিয়েছিল। মাত্র দু’বছর বয়সে বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ায় সে সম্পূর্ণ ঠিকানা বলতে পারছিল না। সেই আন্দাজ ধরেই খোঁজ শুরু হয়। ফরাক্কার পাঁচুলিগ্রামে শেষ পর্যন্ত নাবালিকার প্রকৃত পরিবারের খোঁজ মেলে।
সম্পাদক ফিটু শেখ জানান, আমরা খবর পেয়েই ওই দুই পরিবারের সাথে যোগাযোগ করি। তারপরেই আলোচনার মাধ্যমে উভয় পরিবারের সম্মতিতে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো। মেয়েকে পেয়ে মোজাম্মেল হক জানান, মেয়েকে পেয়ে আমরা খুব খুশি। খুশি মামলাত শেখও।