প্রতীকী ছবি।
করোনা আবহের মধ্যেই আতঙ্ক বাড়িয়েছে চিকেন পক্স। হরিহরপাড়া ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা চিকেন পক্সে আক্রান্ত। তার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি কালুদিয়াড় গ্রামে। বৃহস্পতিবার সেই গ্রামে গিয়ে আক্রান্তদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা
করা হয়েছে। স্থানীয় ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সেলিম মণ্ডল বলেন, ‘‘অনেকেই আক্রান্ত হওয়ায় গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য
দফতরকে জানিয়েছি।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গ্রামে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। শঙ্করপুর গ্রামেও ১০-১২ জন চিকেন পক্সে আক্রান্ত বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। কালুদিয়াড় গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি গত ১৩ এপ্রিল পক্স আক্রান্ত এক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে।
প্রথম দিকে এই অসুখকে তেমন গুরুত্ব না দেওয়া হলেও এখন গ্রামের অধিকাংশ পরিবারই আতঙ্কিত। তা ছাড়া পার্শ্ববর্তী তরতিপুর, শঙ্করপুর, ধরমপুর এলাকাতেও চিকেন পক্স আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে শিশু থেকে বৃদ্ধ। কালুদিয়াড় গ্রামের বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘‘প্রায় মাস খানেক আগে থেকেই গ্রামের বাসিন্দারা পক্সে আক্রান্ত হচ্ছেন। এখন আক্রান্তের সংখ্যাটা প্রায় ৫২ জন। একদিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক আর অন্যদিকে চিকেন পক্স। আমরা খুব আতঙ্কে আছি।’’
গত ১৩ এপ্রিল নওসাদ শেখ (৬০) নামে চিকেন পক্স আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে গ্রামের মানুষের দাবি। তাঁর স্ত্রী জালেখা বিবিও চিকেন পক্সে আক্রান্ত। নওসাদের ছেলে ঝন্টু শেখ বলেন, ‘‘গায়ে পক্স বের হওয়ার দশ বারো দিন পরে বাবা মারা গিয়েছেন।’’ তবে পক্সের কারণেই যে মৃত্যু হয়েছে এবিষয়ে নিশ্চিত নয় স্বাস্থ্য দফতর।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আজিজুল লস্কর বলেন, ‘‘ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে পক্সের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছি। এএনএম এবং আশাকর্মীরাও গ্রামে নজর রেখেছেন।’’ তবে যে হেতু পক্সও একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই চিকিৎসার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা ও লকডাউন মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, আক্রান্তদের তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।