ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু যুবকের

তার নাম-ডাক বিড়ি শিল্প শহর হিসেবে। কিন্তু, দিন যত যাচ্ছে, অরঙ্গাবাদ পরিচিতি পাচ্ছে মাদকের অবাধ কারবারের এলাকা হিসেবেই। ফি রাতেই টালমাটাল মাদকাসক্তদের তাণ্ডব শহরের বাসিন্দাদের চোখ সওয়া হয়ে গিয়েছে। এ বার ট্রেনে কাটা পড়ে মাদকাসক্ত এক যুবকের মৃত্যু হল অরঙ্গাবাদের মহেন্দ্রপুরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৬ ০৭:০৪
Share:

তার নাম-ডাক বিড়ি শিল্প শহর হিসেবে। কিন্তু, দিন যত যাচ্ছে, অরঙ্গাবাদ পরিচিতি পাচ্ছে মাদকের অবাধ কারবারের এলাকা হিসেবেই। ফি রাতেই টালমাটাল মাদকাসক্তদের তাণ্ডব শহরের বাসিন্দাদের চোখ সওয়া হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

এ বার ট্রেনে কাটা পড়ে মাদকাসক্ত এক যুবকের মৃত্যু হল অরঙ্গাবাদের মহেন্দ্রপুরে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার গভীর রাতে। মৃতের নাম সুলতান মহলদার (২৬)। পা কাটা গিয়েছে তাঁর বন্ধু গোপাল মহলদারের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অরঙ্গাবাদে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের জন্য ‘শর্ট কাট’ পথ হিসেবে রেল লাইনকে ব্যবহার করে এলাকার বাসিন্দারা। সুলতান ও গোপালও প্রতিদিন নিমতিতা স্টেশন এলাকা থেকে নেশায় চুর হয়ে রেল লাইন ধরে তাঁদের চেনা পথেই বাড়ি ফিরতেন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ইমামবাজারের বাসিন্দা সুলতান ও গোপাল দু’জনেই যে নিয়মিত হেরোইনের নেশা করতেন, তা এলাকার বাসিন্দারা জানতেন। প্রায় প্রতি রাতেই নেশায় বেসামাল হয়ে রেল লাইন ধরে বাড়ি ফিরতেন তাঁরা।

এ দিনও নেশায় বুঁদ হয়ে রাত্রে এই দুই বন্ধুর অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে তাঁরা আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। পুলিশের ধারণা, সম্ভবত দু’জনে মহেন্দ্রপুরে একটি হাই মাদ্রাসার সামনে রেল লাইনের উপর সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, রাত ১টা নাগাদ ট্রেনের ধাক্কাতে সুলতানের মৃত্যু হয়। রবিবার ভোর রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের তা নজরে আসে। তাঁরাই পাশেই ইমামবাজারে তাদের পরিবারের লোকজনকে খবর দেন।

আহত গোপাল অবশ্য এ দিন স্বাভাবিক কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘‘লাইনের ধারে বসে থেকে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানি না। তারপরে কী ঘটেছে জানি না।’’

অরঙ্গাবাদ জুড়ে মাদকের রমরমা কী ভাবে প্রভাবই এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলছেন এলাকার বাসিন্দারাই। তাঁদের অভিযোগ, অরঙ্গাবাদের বিভিন্ন জায়গায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে মদ, হেরোইন-সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য।

জগতাই-১ পঞ্চায়েতের প্রধান যাদব সিংহ বলেন, “এলাকায় মদ জুয়ার ঠেক বেড়েছে প্রচুর। এ নিয়ে পুলিশ কেন যে তৎপর হচ্ছে না, বুঝতে পারছি না।’’ পুলিশ অবশ্য এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement