সন্দেহের বশে স্ত্রীকে কুপিয়ে মারার অভিযোগে চাকদহের একতারপুরের এক প্রৌঢ় চাষিকে পুলিশ খুঁজছে।
শনিবার বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে মাঠের মধ্যে হালিমা বিবি (৪৬) নামে ওই মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃতার ছোট ছেলে, বছর তেরোর হাসান মণ্ডল দেহ দেখে বাড়িতে এসে খবর দেয়। পরে দেহ তুলে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করায় পুলিশ। কিন্তু রাত পর্যন্ত মৃতার স্বামী, বছর বাহান্নোর আহেদ আলি মণ্ডলের খোঁজ মেলেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পালপাড়া রেলস্টেশন থেকে প্রায় দু-কিলোমিটার দূরে একতারপুরের মসজিদপাড়ায় বছর বাহান্নোর আহেদ আলির টিন দিয়ে ঘেরা টালির চাল দেওয়া দুই কামরার বাড়ি। তাঁর তিন ছেলে ও এক মেয়ে। দুই ছেলেমেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আহেদ ভাগে চাষ করতেন। মাঝে-মধ্যে স্ত্রীকেও মাঠে নিয়ে যেতেন। এ দিনও ভোর ৪টে নাগাদ দু’জনে মাঠে যান। কেউই ফেরেননি। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আহেদের ছোট ছেলে হাসান দুই বন্ধুর সঙ্গে মাছ ধরতে যাওয়ার সময়ে মায়ের দেহ মাঠে উপুড় হয়ে পরে থাকতে দেখে। বাবা-মায়ের মধ্যে প্রায়ই গণ্ডগোল হত বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে।
পরে হালিমার ভাই আহেদ আলির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতার বড় বৌমা ফিরোজা বিবি বলেন, “মাকে সন্দেহ করতেন বাবা। তা নিয়েই অশান্তি হত। শ্বশুর সব সময় কাছে হাঁসুয়া রাখতেন়। আমরা কথা বলতে ভয় পেতাম।”