—প্রতীকী চিত্র।
বেশ কিছু দিন ধরেই বৌদির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন দেওর। বৌদিকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু বৌদি তাঁর বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ‘মানসিক অবসাদে’ ভুগছিলেন যুবক। সোমবার ঘর থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। সোমবার দোলের দিন ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে। পরিবারেরই দাবি, বৌদি বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন যুবক। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে মৃতের বৌদিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার বাসিন্দা প্রিয়াংশু দেবনাথ (নাম পরিবর্তিত) কর্মসূত্রে ভিন্রাজ্যে থাকতেন। ৩৫ বছরের ওই যুবক মহারাষ্ট্রে একটি রেস্তরাঁয় কাজ করতেন। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তখন যোগাযোগ হত ফোনে। নিয়মিত নিজের বৌদির সঙ্গে কথাবার্তাও হত তাঁর। ওই ভাবে দু’জনের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে দাবি পরিবারের।
এর মধ্যে মাস তিনেক আগে দাদা প্রয়াত হলে বাড়ি ফেরেন প্রিয়াংশু। প্রেমের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। কিছু দিন আগে সোজাসুজি বৌদিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন তিনি। প্রতিবেশীদের দাবি, প্রাথমিক ভাবে ওই মহিলা বিয়েতে রাজিও হয়ে যান। কিন্তু এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি শুরু হওয়ায় তিনি দেওরকে বিয়ে করবেন না বলে দেন। ওই ‘ধাক্কা’ সামলাতে না পেরেই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রতিবেশী এবং আত্মীয়েরা।
সূত্রের খবর, সোমবার যুবকের দেহ উদ্ধারের পর পুলিশের কাছে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন যে, আবার নতুন কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার জন্যই বিশ্বজিতকে বিয়ে করতে রাজি হননি তাঁদের বাড়ির বউ। সব পক্ষের কথাবার্তা শোনার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতার দিদি বুল্টি দেবনাথের (নাম পরিবর্তিত) কথায়, ‘‘দাদা বেঁচে থাকা অবস্থাতেই বৌদির সঙ্গে ভাইয়ের প্রেম শুরু হয়। সেই কারণেই দাদা মারা গিয়েছে। তার পর ভাইকে বিয়ের কথা দিলেও অন্য এক জনের সঙ্গে প্রেম শুরু করেছিল বৌদি। সেই অবসাদে আত্মহত্যা করল আমার ভাই। আমার দাদা এবং ভাইকে আসলে হত্যা করেছে বৌদি। আমরা ওর কঠোর শাস্তি চাই।’’
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের কারণে অভিযুক্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।