এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতীকী চিত্র।
পাঁচ বছরের শিশুকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। শিশুটির বাবা এবং অন্য আত্মীয়েরা জঙ্গলের মধ্যে যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তাঁর হাত থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করার পর যুবককে গণধোলাই দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ যুবককে গ্রেফতার করেছে। শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে আদিবাসী তরুণীর হাত-বা বাঁধা দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবার ধর্ষণের অভিযোগ রাজ্যে। এ বার লালসার শিকার শিশু।
মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকার রানিপুর গ্রামের ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরে খেলা করার সময় ওই শিশুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত যুবক একই গ্রামের বাসিন্দা। খুঁজতে খুঁজতে নিকটবর্তী জঙ্গলে পৌঁছন শিশুর বাড়ির লোকজন। সেখানে যুবককে তাঁরা অপকর্ম করতে দেখেছেন বলে অভিযোগ। তখনই তাঁকে জঙ্গল থেকে বার করে এনে মারধর করা হয়। গণধোলাইয়ের পর গ্রামবাসীরা যুবককে তুলে দেন পুলিশের হাতে।
জঙ্গল থেকে উদ্ধারের সময় শিশুটি অচৈতন্য অবস্থায় ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কান্দি মহকুমা হাসপাতালে। গুরুতর আহত অবস্থায় সেখানেই শিশুটি চিকিৎসাধীন। রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুর পরিবার। তাদের অভিযোগ, শিশুটিকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছেন যুবক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যুবককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শিশুটির বাবার এক বন্ধু বলেন, ‘‘আমি বীরভূম থেকে কাজের সূত্রে এখানে এসেছিলাম। ওর বাবার সঙ্গে দুপুরে ছাদে বসে গল্প করছিলাম। বাচ্চাটা তখন বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। হঠাৎ দেখলাম একটা ছেলে এসে ওকে কোলে তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমি ওর বাবাকে সে কথা জানালাম এবং আমরা নেমে এলাম। তত ক্ষণে ও বাচ্চাটাকে নিয়ে চলে গিয়েছে। আমরা বাচ্চাটাকে অনেক খুঁজেছি। কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তার পর জঙ্গলের ভিতরে গিয়ে দেখলাম, ও বাচ্চাটার সঙ্গে খারাপ কাজ করছে। বাচ্চাটাকে ওর কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এলাম আমরা। রাস্তায় ওকে গ্রামের সবাই মারধর করল। বাচ্চাটাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর অবস্থা খারাপ, এখন হাসপাতালে আছে।’’ দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিশুর পরিবার।
মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার মাজিদ ইকবাল জানান, নির্যাতিতা চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।