ফাইল চিত্র।
পুরনো নেতা-কর্মীদের এড়িয়ে সাংগঠনিক কাজ করা নিয়ে ফের নদিয়ার নেতাদের সতর্ক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দলের ভিডিয়ো-বৈঠকে নদিয়ার দুই সাংগঠনিক জেলা রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর নিয়ে আলাদা করে আলোচনা করেন তিনি। রানাঘাট নিয়ে সমস্যা না থাকলেও কৃষ্ণনগর নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট নন, এ দিন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।
নদিয়ার দু’টি সাংগঠনিক জেলাতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে বারবার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে। রানাঘাটের এই অবস্থা কিছু বদলালেও কৃষ্ণনগর নিয়ে এখনও নিয়মিত নালিশ পৌঁছচ্ছে দলের সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত। এ দিন সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই দলের জেলা নেতাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘সকলকে নিয়ে কাজ করতে হবে। কোনও ভাবেই পুরনো দিনের সহকর্মীদের বাদ দেওয়া যাবে না।’’ কৃষ্ণনগরের সাংগঠনিক বিরোধ নিয়ে সম্প্রতি তৃণমূলের বিধায়ক ও নেতারা দলবেঁধে নালিশ জানিয়ে গিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, দলের পুরনো নেতাকর্মীদের একাংশকে বাদ দিয়ে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে নতুন কমিটি করেছেন সভাপতি মহুয়া মৈত্র।
এ দিনের বৈঠকে সরাসরি সেই বিরোধের দিকে ইঙ্গিত করে সকলকে সতর্ক করে দেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি জানিয়ে দেন, পুরনো নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কোথাও কোনও কাজ করা যাবে না। কৃষ্ণনগরে জেলা সভাপতির সঙ্গে দীর্ঘদিনের নেতা তথা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, কল্লোল খাঁর মতো নেতাদের দূরত্ব বারবার সামনে এসেছে। মমতা এ দিন এই দুই পুরনো বিধায়কের নাম করেই জানিয়ে দেন, এঁদের সকলকে সঙ্গে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা দলের ভারপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নজর দিতে বলেছেন তৃণমূলনেত্রী।