শমসেরগঞ্জের গঙ্গা পাড়ের বিভিন্ন এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। নিজস্ব চিত্র
শুক্রবার কি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আসবেন জেলায়? তৃণমূল নেতারা তেমনটাই বলছেন। তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শমসেরগঞ্জে ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে আসছেন শুক্রবার। মালদহ থেকে হেলিকপ্টারে শমসেরগঞ্জে নামবেন বেলা ১টা নাগাদ। ভাঙন পরিস্থিতি দেখে ফিরে যাবেন।’’ তবে প্রশাসনের তরফে বুধবার রাত পর্যন্ত তা নিশ্চিত করা হয়নি।
তবে বুধবারই মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরা শমসেরগঞ্জের শ্মশান ঘাট সহ কয়েকটি এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ভাঙন কবলিত এলাকায় আসার সম্ভাবনায় সিঁড়ি, রেলিং ও দু’টি নৌকো তৈরির কাজ শুরু করেছে জেলা সেচ দফতর বুধবার বিকেল থেকেই।
ওই দিনই পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহ থেকে ফরাক্কা হয়ে জঙ্গিপুরে আসবেন। শমসেরগঞ্জে ভাঙন কবলিত এলাকায় শাসক দল ও বিরোধী নেতারা বহু বার গেলেও গত কয়েক বছরে মুখ্যমন্ত্রী কখনও শমসেরগঞ্জে যাননি। বহু দিন থেকেই দলীয় নেতারাও চাইছেন শমসেরগঞ্জের ভয়াবহ ভাঙন পরিস্থিতি তিনি নিজের চোখে দেখে যান। তাই পাশের জেলা মালদহতে দু’দিন থেকে, শুক্রবার সকালে কলকাতা ফেরার পথে শমসেরগঞ্জে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শমসেরগঞ্জে ভাঙন কবলিত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর আসার সম্ভাবনায় বুধবার বিকেল থেকে সেচ দফতরের কর্তারা ঘাঁটি গেড়েছেন শমসেরগঞ্জে। এদিন সেখানে পৌঁছেছেন জেলা সেচ দফতরের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।সঞ্জয়বাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর শুক্রবার শমসেরগঞ্জে ভাঙন কবলিত এলাকায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জেনেছি। শমসেরগঞ্জ ব্লক অফিসের পাশ দিয়ে শ্মশান ঘাট যেখানে রয়েছে সেখানেই গঙ্গায় জল রয়েছে। সেখানে একটি ভাঙা সিঁড়িও রয়েছে। সেটাকেই বালির বস্তা ফেলে সিঁড়ির আকার দেওয়া হচ্ছে। পাশে দেওয়া হচ্ছে রেলিংও। দুটো বোট বানানো হচ্ছে। আমরা প্রস্তুত থাকছি। কিন্তু তিনি যে আসবেনই তার লিখিত কোনও সূচি আসেনি।’’