রমজানপুর থেকে উদ্ধার হওয়া কেশব মূর্তিটি সাগরদিঘির গিয়াসাবাদ গ্রামের প্রামাণিক বাড়ির মন্দির থেকে চুরি হওয়া বিষ্ণু মূর্তি।
গত বছর ২৭ নভেম্বর মূর্তিটি ওই বাড়ি থেকে চুরি যায়। সাগরদিঘি থানায় ডায়েরিও করেন তাঁরা। সোমবার দুপুরে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ রমজানপুরের জামিরুল সেখের বাড়িতে ক্রেতা সেজে কোটি টাকায় মূর্তিটি কিনতে গিয়ে হাতে নাতে ধরে ফেলে ৫ জনকে। মঙ্গলবার ধৃতদের হাজির করা হয় জঙ্গিপুর আদালতে। মূর্তি উদ্ধারের খবর পেয়ে এ দিনই রঘুনাথগঞ্জ থানায় যান গিয়াসাবাদের প্রামাণিক বাড়ির অসিত প্রামাণিক সহ দুজন। তারা মূর্তিটি দেখে সনাক্তও করেন। অসিতবাবু বলেন, “বছর পঁয়ত্রিশ আগে দাদু গৌরীশঙ্কর প্রামাণিক আমাদের নিজের একটি প্রায় ১০ ফুট গভীর পুকুর সংস্কারের সময় প্রায় ৫ ফুট মাটির গভীর থেকে এই কালো পাথরের বিষ্ণু মূর্তিটি পান। তখন আমাদের বাড়িতে ছিল পুলিশের ক্যাম্প। মূর্তিটি উদ্ধারের পর সেই পুলিশ ক্যাম্পেই জমা পড়ে সেটি। পরে ক্যাম্প উঠে যাওয়ার সময় ক্যাম্পের পুলিশের কর্তারাই মূর্তিটি আমাদের দিয়ে যান এবং সেটি বাড়ির মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই থেকেই প্রতি দিন পুজো হত ওই বিষ্ণু মূর্তির।” তিনি বলেন, “মন্দিরের দরজা খোলাই থাকত সবসময়, এমনকি রাত্রেও। তারই সুযোগ নিয়ে এটি চুরি যায়।”
তাঁর কথায়, এলাকার বিভিন্ন জায়গায় এ রকম ধরনের অনেক মূর্তি বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার হয়েছে। বহু বাড়িতে ও মন্দিরে তা রেখে দেওয়া হয়েছে। সেই ভেবেই তাঁরাও বাড়ির মন্দিরে মূর্তিটি রেখে দেন। কিন্তু তা যে এ ভাবে চুরি হয়ে যেতে পারে তা ভাবতেই পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা রঘুনাথগঞ্জ পুলিশকে বলেছি মূর্তিটি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা।” কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, মূর্তিটি মাটির তলা থেকে পাওয়া গিয়েছে। তার প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই মুর্তিটি কোনও পরিবারের হাতেই তুলে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। সেটি আপাতত থানার হেফাজতেই রাখা হবে। ধৃত ৫ পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা হচ্ছে তাদের হেফাজতে এ ধরনের আর কোনও মূর্তি রয়েছে কি না।