শান্তনু ঠাকুর। ফাইল চিত্র।
ভোটের দিন রাজনৈতিক সংঘর্ষে আহত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে তাঁদের বাড়ি গেলেন বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। গত সোমবার কল্যাণীর মদনপুর প্রিয়নগরে তাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন ১১ জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছিলেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের মারধর করেছে বলে বিজেপির অভিযোগ। তার পর থেকে ৯ জন বিজেপি কর্মী এলাকা ছাড়া। ইতিমধ্যে দলের কল্যাণী গ্রামীণ মণ্ডলের সহ সভাপতি ঝন্টু মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ দিন চাকদহের মদনপুর কালীগঞ্জ কাজিরবাগান এলাকায় আহতদের বাড়িতে যান শান্তনু। তিনি এলাকা ছাড়া বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
যুব মোর্চার কল্যাণী গ্রামীণ মণ্ডলের সভাপতি কার্তিক অধিকারী বলেন, “এ দিন আমাদের প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর কর্মীদের ঘরে ফেরানোর ব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।” ঝন্টুর গ্রেফতারির প্রতিবাদও করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। কার্তিক বলেন, “অন্যায়ভাবে ঝন্টু মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার কোনও অপরাধ ছিল না। ভোটের দিন সে শিবিরে ছিল।’’ বিজেপির নেতা-কর্মীদের একাংশের দাবি, বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ ঝন্টু বাড়িতে খেতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ৪-৫ জন তৃণমূল কর্মী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। বেগতিক বুঝে তাঁকে ঘরে ঢুকিয়ে দেন তাঁর বাড়ির লোকেরা। পরে জনা চল্লিশেক তৃণমূল কর্মী এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে হামলা চালায়।
তবে গন্ডগোলের জন্য তৃণমূলের তরফে ঝন্টুর দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। মদনপুর ১ নম্বর অঞ্চল যুব তৃণমুলের সভাপতি বাবন ঘোষ বলেন, “ঝন্টু মণ্ডল লাইনে দাঁড়িয়ে প্রচার করছিল। সেই সময় এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করে। ওরা আমাদের কর্মী এবং গ্রামবাসীদের উপর চড়াও হয়। ওদের আক্রমণে কয়েকজন আহত হয়েছে। এখানে ভোটকে কেন্দ্র করে কোনও দিন গন্ডগোল হয়নি। এবার বিজেপির জন্য সেটা হল।” নিজস্ব চিত্র