অস্ত্র-মজুত: লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র জমা নেওয়া চলছে বহরমপুর থানায়। মঙ্গলবার। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
গ্রামে গিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে অভিযোগ শুনলেন জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক পি উলাগানাথন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি দৌলতাবাদের নওদাপাড়া ও রুহিয়া গ্রামে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন। কয়েকজন ভোটার জেলাশাসককে কাছে পেয়ে জানান, তাঁদের কিছু লোকজন ভয় দেখাচ্ছে। ভোট দিতে পারবেন কিনা সংশয়ে রয়েছেন। জেলাশাসক অবশ্য এ দিন তাঁদের নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ দিন দুপুরে বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে জেলাশাসক বলেন, ‘‘জেলা জুড়ে দেড় হাজার দুষ্কৃতী ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে। এ ছাড়া জেলার ৪৯১টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিচ্ছে। জেলায় নির্বিঘ্নে ভোট করতে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে।’’
এ দিন জেলাশাসকের দেওয়া হিসেব বলছে, জেলা জুড়ে ৮১০০টি সরকারি জায়গায় দেওয়াল লিখন, পোস্টার, হোর্ডিং ব্যানার ছিল। সেগুলি ইতিমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শাসকদল তৃণমূলের দেওয়াল লিখন, পোস্টার হোর্ডিং ব্যানার সরানো হয়েছে ৬১৪৯টি জায়গা থেকে। কংগ্রেসের ৮৩০টি, সিপিএমের ৫৭২টি ও বিজেপির ১৬১টি জায়গা থেকে দেওয়াল লিখন, পোস্টার, হোর্ডিং, ব্যানার সরানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৭৪টি অভিযোগ এসেছে। তার মধ্যে ১৬১টি অভিযোগের নিস্পত্তিও হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে জেলায় ৬১ হাজার ১৯৪ জনকে প্রতিবন্ধি ভোটার চিহ্নিত হয়েছে, এছাড়া ১ লক্ষ ১২ হাজার ভোটার ভিন রাজ্য বা ভিন জেলায় কর্মসূত্রে থাকেন। প্রতিবন্ধী ভোটারদের এ বারে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা এবং বাড়ি পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জেলাশাসক এ দিন জানিয়েছেন।
অন্য দিকে কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভোটের আগে চলছে লাইসেন্সধারী বন্দুক জমা নেওয়ার পালাও।