—প্রতীকী চিত্র।
এক দু মাসের নয়, টানা ২৬ মাসের টাকা। ব্লক অফিসে এর আগে বহু বার ধর্না দিলেও সেকেন্দ্রা গ্রামের ফরিদা খাতুন নামে এক মহিলার অভিযোগে আমলই দেননি কেউ।
নতুন বিডিও এসেছেন শুনে ফরিদা তাঁর অভিযোগ নিয়ে দু’দিন আগে হাজির হন তাঁর কাছে। দ্রুত দুর্নীতির তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফরিদার হাতে টাকা তুলে দিলেন রঘুনাথগঞ্জ ২-এর বিডিও দেবোত্তম সরকার। এই ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতিকেও অস্বীকার করছেন না বিডিও।
ব্লক অফিস সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীর ভান্ডারে মাসে মাসে ৫০০ টাকা করে জমা পড়ার বার্তা মোবাইলে ফরিদা পেয়েছেন, কিন্তু প্রকৃত অর্থে সে টাকা তাঁর ব্যাঙ্কে জমা পড়েনি। বিডিও-র তদন্তে ধরা পড়ে যে অ্যাকাউন্টে ফরিদার টাকা জমা পড়ছে সেটি তাঁর অ্যাকাউন্টই নয়।
সেটি সম্মতিনগরের হুদরাপুরের বাসিন্দা সাদের শেখ নামে এক যুবকের অ্যাকাউন্ট। সাদেরকে বিডিও ডেকে পাঠান সোমবার। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তাতেই সব কথা স্বীকার করে ওই যুবক।
বিডিও দেবোত্তম বলেন, “মহিলার অভিযোগ পেয়েই তদন্তের ভার দেওয়া হয় এক আধিকারিক চন্দন চৌবেকে।তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হুদরাপুরের যুবক সাদের শেখের অ্যাকাউন্টে ২৬ মাস ধরে ঢুকেছে ফরিদা খাতুনের প্রাপ্য টাকা। ওই যুবক স্বীকার করে তার গ্রামেরই বন্ধু রাহুল শেখ তিন হাজার টাকার বিনিময়ে ফরিদা খাতুনের নামে ওই যুবকের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কও তা খতিয়ে দেখেনি।’’
দেবোত্তম বলেন, ‘‘কিন্তু এই ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতি অবশ্যই ছিল। তা ছাড়া বাইরের দালাল চক্র এই ঘটনায় জড়িত তা জানিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হচ্ছে। তবে যে যুবকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছিল তিনি মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। মঙ্গলবারই ২৬ মাসের দরুন ওই মহিলার প্রাপ্য ১৩ হাজার হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে সে।”