গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ক্লাস নিলেন শিক্ষকেরা

অচলাবস্থা তো কাটলই না। উল্টে শনিবার স্টাফরুমে না বসে বারান্দায় অবস্থানে বসলেন কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজের শিক্ষকেরা। যদিও সকলেই ক্লাস নিয়েছেন। যত দিন না দাবিপূরণ হচ্ছে, এই অবস্থান চলবে বলে  তাঁরা জানিয়েছেন।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২৮
Share:

চলছে ক্লাস। কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।

অচলাবস্থা তো কাটলই না। উল্টে শনিবার স্টাফরুমে না বসে বারান্দায় অবস্থানে বসলেন কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজের শিক্ষকেরা। যদিও সকলেই ক্লাস নিয়েছেন। যত দিন না দাবিপূরণ হচ্ছে, এই অবস্থান চলবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

Advertisement

শিক্ষক দিবসে শিক্ষকেরা উপহার প্রত্যাখ্যান করায় শুক্রবার জবাবদিহি চেয়ে প্ল্যাকার্ড দিয়ে বন্ধ করা হয়েছিল কলেজ ভবনের গেট। টিএমসিপি নিয়ন্ত্রিত ছাত্র সংসদের কিছু নেত্রীর সঙ্গে বাদানুবাদের পরে বাইরে চত্বরে বসে পড়ে শিক্ষকেরা ক্লাস নেন। অধ্যক্ষ মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় সে দিনও কলেজে আসেননি, এ দিনও না। মুখে কালো কাপড় বাঁধা সেই নেত্রীদেরও এ দিন আর কলেজে দেখা যায়নি।

এ দিন সকালে বারান্দায় শতরঞ্চি বিছিয়ে বসে যান শিক্ষকেরা। কারও হাতে ধরা প্ল্যাকার্ড, কারও বা গলায় ঝোলানো। বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু থেকে পদোন্নতির দাবি যেমন আছে, কলেজের ব্যাপারে অধ্যক্ষের ‘পালিত পুত্র’-এর হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধেও তাঁরা সরব। তাঁদের দাবি, মোট ২৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ২২ জনই এ ব্যাপারে এককাট্টা। যাঁর যখন ক্লাস থাকছে, তিনি গিয়ে ক্লাস করে আবার ফিরে এসে বসছেন অবস্থানে।

Advertisement

গোটা ঘটনায় বিরক্ত সাধারণ ছাত্রীরা। তাঁরা চাইছেন, কলেজে এই নিত্য অশান্তি বন্ধ হোক। দুপুরে ক্লাস করে বেরিয়ে সাম্মানিক ভূগোল প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রী বলেন, “কাদের দোষে কী হয়েছে, জানতে চাই না। কিন্তু শিক্ষকেরা মেঝেয় বসে আছেন আর আমরা পাশ দিয়ে হেঁটে
যাচ্ছি, এতে নিজেদেরই খুব অস্বস্তি হচ্ছে।” তাঁরা সকলেই চাইছেন, পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরুক। কিছু ছাত্রনেত্রী অধ্যক্ষের পক্ষ নিয়ে শিক্ষকদের নিগ্রহ করছেন বলেও একাংশের অভিযোগ।

শুক্রবার ঘটনার পুরোভাগে যাঁকে দেখা গিয়েছিল, ছাত্র সংসদের সেই সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাবিরা খাতুন অবশ্য এ দিন ফোনে বলেন, “আমরা ছাত্রী ছাড়া আর কারও পক্ষে নই। অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের বিবাদে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা থেকে কলেজ মুক্ত হোক।” টিএমসিপির জেলা সভাপতি অয়ন দত্ত অবশ্য এখনও দাবি করছেন, “শিক্ষকদের একটা অংশের জন্যই কলেজে এই অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে।”

মানবী ফোনে বলেন, “এই সব বিষয় নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। বাইরে আছি। ফিরে গিয়ে সব খোঁজখবর নিয়ে যা বলার বলব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement