অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে পরীক্ষা দিচ্ছেন কোহিনুর খাতুন। কালীগঞ্জ প্রাথমিক হাসপাতাল। ছবি: সন্দীপ পাল।
শুক্রবারের পর শনিবারও। আবার অসুস্থ হল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কোহিনূর খাতুন। হাসপাতালে ভর্তি হল ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কোহিনুর। তবে শনিবার প্রাথমিক চিকিৎসার পরে হাসপাতালে বসেই কোনও রকমে এ দিনের পরীক্ষা দেয় সে।
কালীগঞ্জের সত্যচরণ পাল বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী কোহিনূর খাতুন এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে লাখুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। শনিবার তার ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই পরীক্ষা কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। তাকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর খানিক সুস্থবোধ করে। সে হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দিতে রাজি হয়। এর আগে শুক্রবারও পরীক্ষা কেন্দ্রে মাধ্যমিক চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সে দিন শেষ অবধি পরীক্ষা সম্পূর্ণ করতে পারেনি সে।
কালীগঞ্জের সাহাপুরের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা কোহিনূর। বাবা আকালি শেখ চোখে দেখতে পান না। কোহিনূরের ছোট ভাই সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। বাবা অন্ধ হওয়ায় বাবার সঙ্গেই বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয় মেয়েকে। জানা গেল, অভাবের সংসার কোনও রকমে চেয়েচিন্তে চলে।
তবে মেয়ের শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই বেশি চিন্তিত পডুয়ার বাবা আকালি শেখ। তিনি বলেন, “খুব কষ্ট করেই আমাদের সংসার চলে। মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে গিয়েও হিমশিম খেতে হয়।’’
তাঁর দাবি, ‘‘মেয়ের মাঝে মধ্যেই অসুস্থ হয়। কী যে করব, কিছুই বুঝতে পারছি না।”