দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে অবশেষে প্রকাশ করা হল বিজেপির প্রার্থিতালিকা।
বৃহস্পতিবার নদিয়া জেলার ১৭টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ১৩টি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বাদ রয়েছে নাকাশিপাড়া, কৃষ্ণগঞ্জ, করিমপুর এবং কৃষ্ণনগর (উত্তর) কেন্দ্র। দলের জেলা সভাপতি আশুতোষ পাল বলেন, ‘‘কর্মীরা নাম প্রকাশের অপেক্ষায় ছিলেন। প্রচারে নামার জন্য ছটফট করছিলেন। কাল থেকেই তারা প্রচারে নেমে পড়বেন।’’
লক্ষণীয়, কল্যাণ নন্দী গোষ্ঠীর এক মাত্র সৈকত সরকার ছাড়া আর কারও নাম প্রকাশিত তালিকায় নেই। মাস পাঁচেক আগে দলের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাহুল সিংহ অনুগামী কল্যাণ নন্দীকে। জেলা ও ব্লক কমিটির অন্যান্য পদ থেকেও রাহুল-গোষ্ঠীর লোকেদের দেওয়া হয়। জেলা সভাপতি-সহ বেশির ভাগ পদেই বসানো হয় আরএসএস ঘনিষ্ঠদের।
তালিকা তৈরির সময়ে এই দুই গোষ্ঠীর দড়ি টানাটানি চলেছে বেশ কিছু দিন। শেষ পর্যন্ত জয় হয় আশুবাবুদেরই। তবে এখনও পর্যন্ত চারটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় কল্যাণ-শিবির কিছুটা হলেও আশায় আছে। যে ৫টি আসনে তারা প্রার্থী দিতে চেয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নাম পাঠিয়েছিল, তার মধ্যে কালীগঞ্জ কেন্দ্রের জন্য জেলা কমিটির প্রাক্তন মুখপাত্র সৈকত সরকারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যে চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা হল না, সেগুলির জন্যও কল্যাণবাবুরা নাম পাঠিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে খবর, ওই চার আসন নিয়ে এখনও একমত হতে না পারাতেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। আশুতোষবাবু বলেন, ‘‘দল থাকলে ভিন্নমতও থাকবে। তবে শেষ কথা বলবে দলই।’’