তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
ভোটের আগে হাতে আর মাত্র সাত দিন। তিন প্রধান প্রতিপক্ষই যে যার মতো করে প্রচার তুঙ্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
করিমপুরের পুরনো বাসস্ট্যান্ডে শনিবার বিকেলে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে সভা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও নদিয়া জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের কোনও রাজ্যস্তরের নেতানেত্রীকে এর আগে প্রচারে দেখা যায়নি। রাজীবই প্রথম এলেন। জনসভায় তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বিজেপি এখন এই এলাকায় রেললাইন করে দেওয়ার কথা বলছে। গত ছ’বছর বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায়। এত দিন এ কথা বলেনি। মিথ্যাচারিতা ওদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে।’’
বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এ বার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী। রাজীবের দাবি, ‘‘বিজেপি প্রার্থীকে প্রায়ই টিভিতে দেখা যায়। এলাকার মানুষের পাশে তিনি কখনও থাকবেন না। আমাদের প্রার্থীকে সব সময়ে আপনারা পাশে পাবেন। ’’
এর আগে বিজেপির দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায় করিমপুরে এসেছেন। আজ, রবিবার ভারতী ঘোষ আসতে পারেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। বাম-কংগ্রেস জোটের তরফে সভা করে গিয়েছেন সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম ও কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। আগামী শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ছাড়াও সিপিএমের বিমান বসু ও সুজন চক্রবর্তীর জনসভা করতে আসার কথা। রাজীবের আর্জি, ‘‘তৃণমূল উন্নয়ন করে মানুষের কাছে ভোট চায়। ভোট ভিক্ষা চায় না। ঋণ হিসেবে দেবেন। জয়ী প্রার্থী এলাকার উন্নয়ন করে সেই ঋণ শোধ করবেন।”