WB Panchayat Election 2023

ধৃত বিধায়ক জীবনের স্ত্রী দলের প্রার্থী নন, টগরির মনোনয়ন নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল তৃণমূল

পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। দুপুর ১টা নাগাদ বড়ঞা বিডিও অফিসে টগরি মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য হাজির হন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৩ ২৩:২৬
Share:

তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। —ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত সমিতির আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী টগরি সাহা। কিন্তু বৃহস্পতিবার তিনি কোন দলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছিল। শুক্রবার বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, জীবনের স্ত্রী দলের প্রার্থী নন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন টগরি। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছিল, জীবনের স্ত্রী নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যদিও তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি ছিল, তাদের প্রতীকেই বড়ঞা ব্লকের শাবলদহ পঞ্চায়েত সমিতির আসন থেকে লড়ছেন টগরি। ওই দিন এ ব্যাপারে দলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। আবার তৃণমূলের ঘোষিত প্রার্থী তালিকাতেও বড়ঞার বিধায়ক-পত্নীর নাম ছিল না। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয় টগরির সঙ্গে। তিনি অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি। শুধু বলেছিলেন, ‘‘নিজের সিদ্ধান্তে মনোনয়ন দিয়েছি। বাকিটা সময় এলে বলব।’’

এ সব নিয়ে জল্পনার মধ্যে শুক্রবার বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘প্রার্থিতালিকায় টগরি সাহার নাম কখনও ছিল না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে কেউ প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারে। প্রতীক দেওয়ার সিদ্ধান্ত দলের। জীবনবাবুর স্ত্রী তৃণমূলের প্রার্থী নন।’’

Advertisement

পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। দুপুর ১টা নাগাদ বড়ঞা বিডিও অফিসে টগরি মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য হাজির হন। তাঁর সঙ্গে দুই প্রস্তাবকও ছিলেন। পরে ব্লক অফিস থেকে তিনি বেরোতেই তাঁর উদ্দেশে ‘চোর চোর’ স্লোগান ভেসে আসে। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবারই জীবনকৃষ্ণকে আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত চত্বরে ঘনিষ্ঠদের কাছে স্ত্রীর মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে জীবনকৃষ্ণ জানিয়েছিলেন, তিনি কিছু জানেন না। তবে তাঁর স্ত্রী অন্য দল বা নির্দল হিসাবে দাঁড়ালে তা কখনওই তিনি সমর্থন করবেন না বলে জানিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। মনোনয়ন তুলে নিতে বলবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী স্বাধীন। নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement