জমি থেকে উধাও মাটি, নির্বিকার পুলিশ-প্রশাসন

কখনও জমি মালিকদের টাকা দিয়ে, কখনও ভয় দেখিয়ে মাটি মাফিয়ারা মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। জমির মালিকেরা ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছেন না। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:৪০
Share:

মাটি-লুট: ফরাক্কায়। নিজস্ব চিত্র

জমি নাকি পুকুর চেনা দায়! কখনও জমি মালিকদের টাকা দিয়ে, কখনও ভয় দেখিয়ে মাটি মাফিয়ারা মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। জমির মালিকেরা ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছেন না।

Advertisement

ফরাক্কার বাহাদুরপুর, শ্যামলাপুর, রানিপুর এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কাটা মাটি বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মজুত রয়েছে কয়েকশো লরি। মাটি মাফিয়াদের দাপটে সাধারণ মানুষ ও চাষিরা ভয়ে কাঁটা থাকলেও মাটি-মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ফরাক্কার বাহাদুরপুর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। তাঁরা প্রশাসনের কা ছে নালিশও জানিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেই অভিযোগ।

বাহাদুরপুরের পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের উজ্জ্বলা মণ্ডল বলছেন, ‘‘অবৈধ ভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার ফলে এলাকার চাষের জমি নষ্ট হচ্ছে।’’ তাঁর অভিযোগ, জমির মাটি কাটা বন্ধ করতে বলা হলেও তারা আমল না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে গত বুধবার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

Advertisement

ফরাক্কার বিধায়ক কংগ্রেসের মইনুল হকের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল নেতাদের প্রশ্রয়ে ওই মাটি কাটার কাজ চলছে বলেই পুলিশ ও প্রশাসন নীরব।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এজারত আলির দাবি, ‘‘দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নেই। পঞ্চায়েত প্রধান এখন যে অভিযোগ করছেন, গত দেড় বছর ধরে আমি ফরাক্কার প্রশাসনের কাছে একই অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। প্রশাসন নির্বিকার।”

ভূমি সংস্কার দফতরের ব্লক আধিকারিক তরুণকুমার দাস জানাচ্ছেন, পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ফরাক্কা থানাকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন তিনি। দ্রুত পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই এলাকায় যাবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement