কর্মবিরতি। কালীগঞ্জে।
বিভিন্ন সরকারি সুবিধার দাবিতে মঙ্গলবার স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে দাবিপত্র জমা দিলেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কর্মীরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে এ দিন জেলার সব ব্লকের কর্মীরাও দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। করিমপুর ২ ব্লকের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন কর্মী দীপক কুমার মণ্ডল জানান, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন বা এনএইচএমের কর্মীরা একটা বিরাট ভুমিকা পালন করেন। বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গ্রামীণ হাসপাতাল, মহকুমা বা জেলা হাসপাতালে তাঁদের কাজ করতে হয়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাদের ওষুধ সরবরাহ করতে হয়। এঁরা সকলেই চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন নিরলস পরিশ্রম করেও তাঁরা প্রাপ্ত সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। স্বাস্থ্য দফতরে তাঁরা বার-বার জানিয়েও কোনও ফল হয়নি।
মূলত পাঁচটি দাবি নিয়ে এ দিন রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্মারক লিপি জমা দেন তাঁরা। করিমপুর ২ ব্লকে ৩৫ জন এনএইচএম কর্মী মঙ্গলবার এই কর্ম বিরতি পালন করেছেন। তাঁদের কথায়, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া এবং তাঁদের টিকাকরণ, স্বাস্থ্য সম্পর্কে ও রোগ সম্পর্কে সচেতন করা, এলাকার বয়স্ক মানুষদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা, যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, ম্যালেরিয়া রোগীর খোঁজ করা ও তাঁদের চিকিৎসায় নজরদারি, রাত-বিরেতে খবর পেয়ে রোগীর বাড়িতে ছুটে যাওয়া সবই তাঁদের করতে হয়। কোভিড রোগীর নামের তালিকা তৈরি করতে হয়। এনএইচএম কর্মীরা জানান, স্থায়ী চাকরি ও বেতন পরিকাঠামো পুনর্বিন্যাসের জন্য আগেও সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। বেতন বৃদ্ধি, স্থায়ী চাকরি, কর্মরত অবস্থায় বা কোভিডে মৃত কর্মীদের ক্ষতিপূরণ-সহ পাঁচটি দাবিতে এ দিন তাঁরা কর্মবিরতি পালন করেন। কালিগঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে বেশ কিছু স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রায় দুই ঘন্টা কর্মবিরতি করে স্বাস্থ্য দফতরের সামনে ধর্নায় বসেন। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরের সামনেও তাঁরা কিছু ক্ষণ ধর্নায় বসেন ও স্লোগান দেন।