প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। নিজস্ব চিত্র।
প্রয়াত হলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহা। তিনি ছিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯। মন্ত্রীর প্রয়াণে বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব সরকারি দফতরে বেলা ২টোর পর ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুব্রত। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। তিনি ছিলেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। এর কিছু ক্ষণ পরে বেলা ১১টা নাগাদ প্রয়াত হন তিনি।
২০১১ সালে সাগরদিঘি থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার একমাত্র তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সুব্রত সাহা। টানা ৩ বার ওই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন তিনি। সুব্রতের মৃত্যুতে শোকের ছায়া জেলার রাজনৈতিক মহলে। এক সময় কংগ্রেসে ছিলেন তিনি। পরে তিনি যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। সুব্রতর প্রয়াণে শোকবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘‘রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহার প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে বহরমপুরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘির ৩ বারের বিধায়ক সুব্রতবাবু পূর্ত দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি, বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। সুব্রতবাবুর সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। তাঁর রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সুব্রত সাহার প্রয়াণে রাজনৈতিক জগতে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি সুব্রত সাহার পরিবার-পরিজন এবং অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’’ সুব্রতকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।