ডোমকল থেকে কলকাতা কিংবা দিল্লি বহু দূর। মহানগর এখন কাঁপছে যুব বিশ্বকাপ ফুটবল জ্বরে। সেখানে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। এরই মাঝে কার্যত বিপ্লব ঘটে গেল ডোমকলের শাহাদিয়াড় গ্রামে। তিন দিনের ফুটবল প্রতিযোগিতার আসর বসে এখানে। ২০ টাকার টিকিটও ছিল। টিকিট কেটে খেলা আর আগেও জেলায় হয়েছে। কিন্তু, ২০ টাকার টিকিট! একে বিপ্লবই বলছেন জেলার ক্রীড়া প্রেমীরা।
প্রতিকূল আবহাওয়াকে হার মানিয়ে শেষ পর্যন্ত জিতে গেল ফুটবল। টানা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হাজার চারেক দর্শক নিয়মিত খেলা দেখলেন। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় দর্শক সামাগম কিছুটা কম হলেও হতাশ নন উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের এক জন জানালেন, এই আবহাওয়ায় মাঠে চার হাজার দর্শকই বা কম কোথায়?
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ডোমকলে প্রত্যন্ত এলাকায় ফুটবল প্রেম অবশ্য নতুন কোনও ঘটনা নয়। যে কোনও ফুটবল প্রতিযোগিতায় মাঠে দর্শকদের ঢল নামে। শাহাদিয়াড়ের প্রতিযোগিতায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুটবল দল এসেছিল। রবিবার ফাইনালে শান্তিপুরের নাইট স্টার ক্লাবকে ৪-১ গোলে হারায় ধুবুলিয়ার কালীনগর সংগ্রামী সংঘ।
নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলা ছাড়াও বর্ধমান ও দুই দিনাজপুরের মোট ৮টি ফুটবল দলকে নিয়ে শনিবার থেকে শাহাদিয়াড় গ্রামে বসেছিল ফুটবলের আসর। এ ক’দিন আবহাওয়ার কারণে মাঠে উপচে পড়া দর্শক হয়নি। তবে, এমন আবহাওয়ার মাঝেও ফুটবল খেলা হয়েছে সোমবারও।
তবে বিরাট অঙ্কের টাকা খরচ করে এমন জমকালো ফুটবলের আসর বসিয়ে কিছুটা গুনাগার গুণতে হয়েছে উদ্যোক্তাদের। কারণ চ্যাম্পিয়ন দলকে নগদ ২০ ও রানার্সকে ১৫ হাজার টাকা ছাড়াও প্রতিটি দলকে যাতায়াত ও খাওয়া দাওয়ার খরচ দিতে হয়েছে তাদের। মোটা টাকা খরচ করে ঘিরতে হয়েছে মাঠ। ক্লাবের সভাপতি আব্দুর রজ্জাক মোল্লা বলেন, ‘‘একটি গ্রামের ক্লাবের পক্ষে এত বড় একটা টুর্নামেন্ট করা সম্ভব নয়। তবুও গ্রামের মানুষের চাহিদার দিকে নজর দিয়ে আমরা এই খেলার আয়োজন করেছিলাম।
ফুটবল উন্মাদনা তুঙ্গে নদিয়ায়ও। কোথাও এক দিনের ফুটবল টুর্নামেন্ট, কোথাও চলছে জোনাল লিগের খেলা। ১৮ অক্টোবর থানারপাড়া এবং ২২ অক্টোবর নতিডাঙ্গায় আট দলীয় এক দিনের ফুটবল হবে। ৫ নভেম্বর থেকে সাত দিনের আট দলীয় ‘শ্যামনগর সকার কাপ’ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে তেহট্টের শ্যামনগর নবীন সঙ্ঘ।