—প্রতীকী ছবি।
পাশা উল্টে গত বছরের কংগ্রেসের জয়ী বিধায়ক আখরুজ্জামান এখন তৃণমূলের দখল নিয়েছেন। তাঁর অনুগত সাথী সমিরুদ্দিন বিশ্বাস তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। শুধু তাঁরাই নন, বিধায়কের বেশির ভাগ কংগ্রেস সঙ্গীই এখন তৃণমূলের ঝান্ডা ধরেছেন জঙ্গিপুরে।
রঘুনাথগঞ্জ ২ ব্লকের ১০টি এবং লালগোলা ও সুতি ১ ব্লকের ২টি গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র।
২০১৬তে সিপিএম ও কংগ্রেস জোট ভেঙে জেলায় যে ৫টি কেন্দ্রে আরএসপি প্রার্থী দেয় তার একটি রঘুনাথগঞ্জ। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস ও বামেদের বন্ধুত্বের লড়াইয়ের অঙ্কে জিতে যাবে তৃণমূল এই ভাবনায় সিপিএম কংগ্রেসের পাশে না দাঁড়ালে তৃণমূল সুযোগ বুঝে আসন ছিনিয়ে নেবে। তাই সিপিএম রঘুনাথগঞ্জে ২০১৬ সালের ভোটযুদ্ধে নেমে পড়ে আরএসপিকে ছেড়ে কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে। ফলে ভোট বাড়িয়েও তৃণমূলের হার হয় শোচনীয় ভাবে।
সেদিনের সেই কংগ্রেস প্রার্থীই এখন তৃণমূলে। আর ২০১৯ য়ে তৃণমূল প্রার্থীর সৈনিক জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ নাসির শেখ এখন তৃণমূলে ব্রাত্য। ব্লক সভাপতি পদ থেকে অপসারিত। তবে এলাকায় তাঁর প্রভাব আছে। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলের খবর কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন তিনিই। আরএসপির দুবারের বিধায়ক আবুল হাসনাতও এখন কংগ্রেসে। তার সঙ্গে জোট সঙ্গী সিপিএমের সমর্থন। যদিও নাসির বলছেন, “তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হিসেবে গত বছর লোকসভায় দলীয় প্রার্থীকে ৬৩ হাজার ভোটে এগিয়ে দিলেও দল ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আগে একবার জিজ্ঞেস করার সৌজন্যটুকুও দেখায় নি। তাই এখনও চুপ করেই আছি। কংগ্রেস এখনও কোনও প্রস্তাব দেয়নি। যদি দেয় নিশ্চয় ভেবে দেখব।” কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা বর্তমান বিধায়ক আখরুজ্জামানের বাবা প্রয়াত হাবিবুর রহমান এই এলাকার বিধায়ক ছিলেন ২৫ বছর। আবার কংগ্রেস ছেড়ে নির্দলীয় প্রার্থী হয়ে হেরেছেনও একবার। বাবার পরে পরপর দুবার বিধায়ক হয়েছেন ছেলে আখরুজ্জামান। এলাকায় প্রভাবও কম নেই। কংগ্রেসের দুর্গে তাই দুই কংগ্রেসের লড়াই দেখবে রঘুনাথগঞ্জ।