প্রতীকী ছবি।
বাবার হাতে মাকে খুন হতে দেখেছিল সে। নিজেও খুনের হাত থেকে বেঁচে গেছে কোনোক্রমে। পাঁচ বছরের সেই নাসিবুল শেখকে বুধবার আদালতের নির্দেশে বহরমপুরের এক সরকারি হোমে রাখার ব্যবস্থা করল আজিমগঞ্জ রেল পুলিশ।
বুধবার, দিনভর টানাপড়েনের পর মঙ্গলবার রাত্রে শেষ পর্যন্ত খুনের অভিযোগ দায়ের করে মামলা রুজু করেছে ফরাক্কার রেল পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শিশুর বয়ানমত কালিয়াচকে তার বাড়ির সন্ধান পায়নি তারা। তাই আপাতত শিশুটিকে ‘সেফ কাস্টডি’তে রাখার জন্যই সরকারি হোমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বেড়াতে নিয়ে এসে স্ত্রী তানজিরা বিবিকে সোমবার সন্ধ্যেয় ফরাক্কা স্টেশন লাগোয়া রেললাইনের ধারে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করেন স্বামী। সঙ্গী পাঁচ বছর বয়সী শিশু পুত্রকেও পাথর দিয়ে মেরে স্ত্রীর পাশে ফেলে রেখে গিয়েছিল সে। কিন্তু শিশুটি কোনোক্রমে বেঁচে যেতেই পরিকল্পিত এই হত্যার ঘটনা সামনে আসে। সে জানায়, বাবা নাসিমই মাকে খুন করেছে। তাকেও মেরে ফেলতে চেয়েছিল তার বাবা। তাদের বাড়ি কালিয়াচকে বলেও জানায় ছেলেটি।
আহত শিশুটিকে নিয়ে কালিয়াচক থানাতেও যায় রেল পুলিশের অফিসারেরা। সেখানকার সিভিক কর্মীদের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় শিশুটির ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে শিশুটির পরিবারটিকে খুঁজে বের করা যায়। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যে পর্যন্ত তেমন কোনও খোঁজ মেলেনি।
এ দিকে বুধবার দুপুরে, ঘটনাস্থল থেকে সামান্য দূরে ফিডার ক্যানালের জল থেকে এক পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফরাক্কা থানার পুলিশ। দেহটি কার? সে পরিচয় অবশ্য এখনও মেলেনি। এর সঙ্গে সোমবারের ঘটনার কোনো যোগ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে চাইছে রেল পুলিশ।
আজিমগঞ্জ রেল পুলিশের ওসি মহাবীর বেরা জানান, ফরাক্কা থানার সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই মৃতদেহটি আপাতত জঙ্গিপুর পুলিশ মর্গে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, তার ময়না তদন্ত হলে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ । ফরাক্কা থানাকে বলা হয়েছে ওই মৃতদেহটির ছবি রেল পুলিশকে পাঠাতে। ওই ছবি হোমে নিয়ে গিয়ে দেখানো হবে শিশুটিকে। সে দেহটি চিনতে পারলে অবশ্য তদন্ত নতুন মোড় নেবে বলে মনে করছে পুলিশ।