Mustard Crops Damaged

কুয়াশায় ধসা রোগ সর্ষে চাষে, আশঙ্কায় চাষি

বেতাই, তেহট্ট, ইলশামারি, রঘুনাথপুর, তারানগর, আশরফপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণ জমিতে সর্ষে চাষ করেন চাষিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তেহট্ট শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:২২
Share:

সর্ষে গাছে ধসা রোগের আক্রমণ। বৃহস্পতিবার তেহট্টে। ছবি: সাগর হালদার।

প্রায় রোজই সকাল সন্ধ্যায় কুয়াশার ঢেকে থাকছে চারপাশ। যার প্রভাব পড়েছে সর্ষে চাষে। ঘন কুয়াশার কারণে ধসা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সর্ষে গাছ। ফলে সর্ষে পাকার আগেই গাছ মাঝামাঝি থেকে ভেঙে যাচ্ছে। এমনকি গাছের বিভিন্ন অংশ সাদা হয়ে যাচ্ছে। এমন ছবি নজরে আসছে তেহট্ট-১ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়। সপ্তাহখানেক ধরে দেখা যাচ্ছে এই রোগের প্রাদুর্ভাব। এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে সর্ষের। আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় চাষিরা।

Advertisement

ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রামীণ এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমিতে সর্ষের চাষ করেছেন চাষিরা। বেতাই, তেহট্ট, ইলশামারি, রঘুনাথপুর, তারানগর, আশরফপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণ জমিতে সর্ষে চাষ করেন চাষিরা। চাষিরা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে এমনিতেই অনেকে পাট চাষে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন।‌ তা ছাড়া সীমান্ত এলাকার চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে, এই মরসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় মাঠের জমি আগেভাগে সর্ষে চাষের উপযোগী হয়ে ওঠে়। সেই কারণে এ বছর পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন প্রজাতির সর্ষের চাষ হয়েছে। ফুল-ফল সবই ভাল ছিল। কিন্তু কয়েক দিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, গাছের কাণ্ডে পচন ধরছে।

প্রাণেশ বিশ্বাস, সুভাষ সরকার, প্রসেনজিৎ ঘোষ, অনিল বিশ্বাসের মতো চাষিরা বলছেন, “গাছে সর্ষের দানা এখনও পুষ্ট হয়নি। কেবল ফুল ঝরতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে কয়েকদিন থেকে লক্ষ্য করছি সর্ষে গাছ মাঝামাঝি জায়গায় পচে গিয়ে ভেঙে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় সাদা হয়ে গিয়েছে।” জীবন বিশ্বাস , দিলীপ বিশ্বাসরা বলেন, “প্রতিদিন গাছ ভাঙার ঘটনা বাড়ছে। সর্ষের খেত ঘন হওয়ার কারণে খেতের মধ্যে ঢুকে রাসায়নিক ছড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে এই রোগের হাত থেকে গাছ বাঁচানোর কোনও উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। আর কয়েকদিন এভাবে চললে জমির অধিকাংশ গাছই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
তেহট্ট-১ সহ কৃষি আধিকারিক আনন্দ কুমার মিত্র বলেন, “এই আবহাওয়ার জন্য সর্ষে গাছের কিছু অংশ সাদা হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফাংগিসাইট স্প্রে করার জন্য চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement