Hilsa Fish

বাংলার পথে রওনা দিয়েছে ইউনূসের ইলিশ, বৃহস্পতি তুঙ্গে হবে কি মৎস্যপ্রেমী বঙ্গবাসীর! দর উঠবে কত?

শনিবারের মধ্যে প্রায় সব খুচরো মাছের বাজারে বিক্রি হবে প্রতীক্ষিত ইলিশ। হাওড়া, পাতিপুকুর, শিয়ালদহ ও শিলিগুড়ির বাজারে পদ্মার ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর ও হাওড়া শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:০৩
Share:

পদ্মার ইলিশ আসছে বাংলায়। —ফাইল চিত্র।

দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে চলেছে পদ্মার ইলিশের ‘প্রথম চালান’। সব কিছু ঠিকঠাক চললে বৃহস্পতিবারই পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে কলকাতা, হাওড়া-সহ রাজ্যের চারটি বাজারে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশের রুপোলি শস্য। শুক্রবার থেকেই রাজ্যের খুচরো মাছবাজারে মিলবে বাংলাদেশি ইলিশ। বুধবার এমনটাই জানালেন ‘ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ। এ পার বাংলার মৎস্য আমদানিকারক সংগঠনের সম্পাদকের সঙ্গে এ ব্যাপারে সহমত পোষণ করেছেন বাংলাদেশের ইলিশ রফতানির বরাত পাওয়া সংগঠনও। এখন প্রশ্ন, কত দর হতে পারে বাংলাদেশি ইলিশের?

Advertisement

বুধবার ইলিশ রফতানিতে ছাড়পত্র দিয়েছে অন্তর্বর্তিকালীন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই অনুমতির মেয়াদ আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে মোট চব্বিশশো কুড়ি মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে মুহাম্মদ ইউনূস সরকার। সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করে বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ থেকে ইলিশভর্তি ট্রাক রওনা দেবে পেট্রাপোল সীমান্তের দিকে। সন্ধ্যাতেই ইলিশ কলকাতায় পৌঁছে যাওয়ার কথা।

প্রাথমিক ভাবে হাওড়া, পাতিপুকুর, শিয়ালদহ ও শিলিগুড়ির বাজারে পদ্মার ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’। আগামী শনিবারের মধ্যে রাজ্যের প্রায় সব খুচরো মাছের বাজারে বিক্রি হবে প্রতীক্ষিত ইলিশ। বাংলাদেশের রফতানিকার সংস্থার পক্ষ থেকে ইব্রাহিম হালসনা আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘ইলিশের প্রথম চালান বৃহস্পতিবার সকালে এখান থেকে ছেড়ে যাবে। বৃহস্পতিবার বিকেল অথবা সন্ধ্যায় পেট্রাপোল সীমান্তে পৌঁছোবে।’’

Advertisement

কত হতে পারে পদ্মার ইলিশের দাম? মৎস্য আমদানিকারক সংস্থা সূত্রের খবর, গত বছর বাংলাদেশের রফতানিকারকদের কাছ থেকে যে মূল্যে ইলিশ পেয়েছিলেন, এ বছর তার থেকে অনেকটাই বেশি দাম দিতে হচ্ছে। খুচরো বাজারে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদাও যথেষ্ট। তাই সাধারণ মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে কতটা পদ্মার ইলিশ থাকবে, সেটাও প্রশ্ন।

উৎসবের মরসুমে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে পদ্মার ইলিশ পৌঁছতো। পূর্বতন হাসিনা সরকার একে বলত, ‘সৌজন্যের ইলিশ’। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভারতে ইলিশ পাঠানো নিয়ে কঠোর মনোভাবের কথা জানায়। পরে অবশ্য অবস্থান পরিবর্তন করেছে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement