Durga Puja 2020

পরিবারের আপত্তিতে বন্ধ হয়েছে পশুবলি

সান্যাল পরিবারের এক সদস্য জানান, সপ্তমীর দিন কলাবউ স্নান করিয়ে রাখা হয় কার্তিকের পাশে। এখানে নবপত্রিকা দুর্গার রূপ হিসেবে পূজিত হয়। তাছাড়া প্রথা মেনেই প্রতি অষ্টমীতে কুমারী পুজো, সাবিত্রী পুজোর প্রচলন রয়েছে।

Advertisement

মফিদুল ইসলাম

নওদা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২০ ০১:১৪
Share:

সান্যাল বাড়ির প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র

ব্লকের প্রাচীন পুজোগুলির অন্যতম নওদার সান্যালবাড়ির পুজো। এবার ওই পুজোর ২৫৮ তম বর্ষ।ওই পরিবারের এক সদস্য জানান, বাংলাদেশের পাবনা জেলার সলপে এক সময় সান্যাল পরিবারের পূর্বপুরুষরা থাকতেন। অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে মহারাজ নন্দকুমারের আনুকূল্যে ওই পরিবারের পুর্বপুরুষ শ্রীমন্ত সান্যাল পরিবার নিয়ে নওদায় স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেছিলেন। ১৭৬২ সালে শুরু হয় সান্যাল বাড়ির এই পুজো। তবে আদতে পারিবারিক পুজো হলেও গ্রামের অন্য বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে তা এখন সর্বজনীন পুজোর রূপ নিয়েছে। সান্যাল পরিবারের সদস্যরা নিজেদের টাকায় এই পুজোর আয়োজন করেন। আগে এই পুজোয় পশুবলি দেওয়া হত। তবে ১৯৯৭ সাল থেকে পরিবারের সদস্যদের কয়েক জনের আপত্তিতে সেই প্রথা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

সান্যাল পরিবারের এক সদস্য জানান, সপ্তমীর দিন কলাবউ স্নান করিয়ে রাখা হয় কার্তিকের পাশে। এখানে নবপত্রিকা দুর্গার রূপ হিসেবে পূজিত হয়। তাছাড়া প্রথা মেনেই প্রতি অষ্টমীতে কুমারী পুজো, সাবিত্রী পুজোর প্রচলন রয়েছে। অষ্টমীর দিন তিন জনের বেশি বিজোড় সংখ্যায় কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। যা দেখতে ভিড় করেন গ্রামের সব ধর্মের মানুষ। কর্মসূত্রে সান্যাল বাড়ির অনেকেই কলকাতা কিংবা ভিন রাজ্যে রয়েছেন। পুজো উপলক্ষে তাঁরা ঘরে ফেরেন। ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতিমার ডাকের সাজ তৈরি করে আসছেন শিল্পী আশিস বাগচী। পরিবারের প্রবীণ সদস্য দেবব্রত সান্যাল বলেন, ‘‘পারিবারিক পুজো হলেও এই পুজো আসলে গ্রামের সকলের।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement