flood

heavy rainfall: জল জমেছে পাড়ায়, লাভ শুধু ধান চাষে 

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় গড়ে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

টানা বৃষ্টির জেরে ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। পাশাপাশি বেশ কিছু নিচু জায়গায় জল জমতে শুরু করেছে। বুধবার দিনভর জেলার নানা প্রান্তে কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। তবে জেলার ভাঙনপ্রবণ এলাকায় এ দিন পর্যন্ত সমস্যা নেই বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবারের পর বুধবারও বৃষ্টি হয়েছে জেলার নানা জায়গায়। এ দিন দিনভর ভারী থেকে হালকা বৃষ্টি চলেছে। বিভিন্ন জায়গা জলমগ্নও হয়ে পড়েছে। শান্তিপুরের কিছু নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। হরিপুর পঞ্চায়েতের উত্তর কলোনি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে এখানকার ৭০-৮০টি পরিবার বিপদের মধ্যে পড়েছেন।

হরিপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শোভা সরকার বলেন, “ওখানে নিকাশি নালা রয়েছে। কিন্তু যে জলাশয়ে গিয়ে জল পড়ে অতিবৃষ্টির কারণে তা ভর্তি হয়ে রয়েছে। আশপাশের বিভিন্ন মাঠও জলমগ্ন। কাজেই অন্যত্র এই জল সরিয়ে দেওয়ার জায়গাও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রশাসনকে জানিয়েছি। ওখানে আমরা চেষ্টা করছি জল সরিয়ে দেওয়ার।”

Advertisement

শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তার বেহাল দশা হয়ে রয়েছে আগে থেকেই। একই হাল ফুলিয়া তাহেরপুর রোডের একাংশেরও। এ দিনের বৃষ্টির পরে সেখানে রাস্তার খানাখন্দে জল জমে তা আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। রানাঘাট-কল্যাণী সড়কেও রাস্তার খানাখন্দে জল জমেছে। পালপাড়া, চাকদহ, শিমুরালির বেশ কিছু নিচু এলাকায় জল জমেছে টানা বৃষ্টির কারণে।

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় গড়ে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে কৃষিজমি জলমগ্ন হয়ে পড়ার খবর নেই কৃষি দফতর সূত্রে। বুধবার পর্যন্ত যা বৃষ্টি হয়েছে তাতে ধানচাষের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলেই দাবি কৃষিকর্তাদের।

জেলার বেশ কিছু এলাকা ভাঙনপ্রবণ সাম্প্রতিক কালে। তবে বুধবার পর্যন্তও ভাগীরথীর ভাঙনপ্রবণ এলাকায় কোথাও সমস্যা কিছু দেখা যায়নি। তবে জেলার নদীবাঁধ এবং ভাঙনপ্রবণ এলাকায় নজর রাখছে সেচ দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement