প্রতীকী ছবি।
জঙ্গিপুর হাসপাতালে নার্সদের অবস্থান বিক্ষোভ এখনও চলছে। তিন দিনে পড়ল তাঁদের এই অবস্থান। শুক্রবার তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, যত ক্ষণ না তাঁরা হাতে রিলিজ অর্ডার পাচ্ছেন তত ক্ষণ তাঁরা তাঁদের অবস্থান তুলবেন না।
অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পর্যাপ্ত সংখ্যায় নার্সিং কর্মী হাসপাতালে না আসা পর্যন্ত বদলি হওয়া কোনও নার্সকেই রিলিজ দেওয়া হবে না। সমস্ত ঘটনা জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে।
হাসপাতাল ভবনের মধ্যে এভাবে অবস্থানকে নজিরবিহীন বলে এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ জেলা স্বাস্থ্য দফতরও। যদিও ওই ২৮ জন নার্সিং কর্মীর সকলেই ডিউটি করেই অবস্থান চালাচ্ছেন অন্য সময়ে। কিন্তু স্বাস্থ্য় দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, যতই হাসপাতাল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা হোক, নার্সদের এই অবস্থান ভবিষ্যতের জন্য খারাপ নজির হয়ে থাকবে। সে কথা ভেবেই এ বার কড়া পদক্ষেপের পথে তাঁরা হাঁটবেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের কথায়, হাসপাতালের সরকারি ভবনে বসে এই অবস্থান করা যায় না। তাই সেখান থেকে অবস্থানরত নার্সদের বাইরে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার কথাও চিন্তা করা হচ্ছে।
হাসপাতাল সুপার সায়ন দাস স্পষ্ট বলেন, ‘‘কাউকে রিলিজ দেওয়া সম্ভব নয়। পরিস্থিতির কথা জানিয়ে অবস্থান মঞ্চে গিয়ে আন্দোলন তুলে নিতে শুক্রবার সকালে বহু বার বলা হয়। কিন্তু তাঁরা অবস্থান তোলেননি।’’ সায়নবাবু বলেন, ‘‘আন্দোলনকারীরা জানেন হাসপাতালে ৭২ জন নার্সিং কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। তারপরেও ২৮ জনকে ছেড়ে দিলে হাসপাতালে সমস্ত ওয়ার্ড অচল হয়ে যাবে। এটা সম্ভব নয়।’’ তবে আন্দোলনরত নার্সদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দফতর কড়া পদক্ষেপ করতে পারছেন না কারণ তাঁরা হাসপাতালে তাঁদের ডিউটি যথারীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে জেলা স্বাস্থ্য দফতর তাঁদের শোকজ করতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
ওই ২৮ জন নার্স গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বদলির আদেশ পেলেও দীর্ঘ এক বছর ধরে আটকে রয়েছেন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে।