প্রতীকী ছবি।
চলো কলকাতা।
শাসক দলের শহিদ দিবস, ২১শে জুলাইয়ে জেলা থেকে দলের কর্মী-সমর্থক বোঝাই বাস কলকাতা ছোটার রেওয়াজ নতুন নয়। জেলার মেজ-সেজ নেতারা, খোলা মনেই স্বীকার করে নিচ্ছেন, লোকবলের বাড়বাড়ন্ত দেখাতে ওই দিনটার অপেক্ষাতেই থাকেন তাঁরা। জুলাইয়ের ওই বিশেষ দিনটির আগে-পরে দিন দুয়েক যে জেলার মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে তা নিয়ে তৃণমূলের ওই সব নেতাদের তেমন হেলদোল চোখে পড়ে না। সেই চেনা ছবিটা ফিরতে চলেছে এ বছরও। নদিয়ার বাস মালিকদের সংগঠনের খবর, জেলার বিভিন্ন রুটে যাত্রিবাহী বাসের ৮০ শতাংশ ‘উঠে’ গিয়েছে এ বার। শহিদ দিবসে কলকাতা ছুটতে ইতিমধ্যেই সেগুলি ‘বুকড’। ছবিটা একই রকম মুর্শিদাবাদে। সে জেলার বাস মালিক সংগঠনের এক কর্তা স্বীকার করছেন, ‘‘প্রায় চল্লিশ শতাংশ বাস ইতিমধ্যেই বুক করে রেখেছেন তৃণমূল নেতারা। ২১ তারিখ পথে রাস্তায় বাস মেলা যে দুষ্কর, বলাই বাহুল্য।’’ শুক্রবার সকাল থেকে দুই জেলার নিত্যযাত্রীদের কপালে যে ভাঁজ পড়বে, তা প্রায় নিশ্চিৎ।
কংগ্রেস ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে ফেরা দলের মুর্শিদাবাদ জেলা মুখপাত্র অশোক দাস দাবি করেছেন, ‘‘রুটের বাস বেশি তোলা হয়নি। যাত্রীদের তেমন সমস্যা হবে না।” কত বাস নিচ্ছেন? নদিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের কারা দফতরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস জানিয়ে রাখছেন, ‘‘এটা দলের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। দলের লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থক যাবেন, এটা তো স্বাভাবিক।”
তবে, বাসের পাশাপাশি, জেলা থেকে কলকাতা-মুখী ট্রেন কিংবা ছোট গাড়ির উপরেও যে ‘থাবা’ পড়তে চলেছে, মনে করিয়ে দিচ্ছেন, জেলা কংগ্রেসের এক তাবড় নেতা। তিনি বলেছেন, ‘‘তৃণমূল মা-মাটি-মানুষের কথা বলে বটে, তবে, এ দিনটায় জেলার মানুষের যে কী হাল হয় সেটা বোধহয় ওদের জানা নেই।’’