অনলাইনের ভারেই চ্যাপ্টা দোকানি

বস্ত্র ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ বলেন, ‘‘পুজোর নতুন পোশাক দোকানে মজুত করা হয়ে গিয়েছে। এ বারের বাজারে মহিলাদের জন্য ‘হিট’ পোশাক ‘ফ্লোর লেন্থ  গাউন’ বা ‘লং গাউন’।

Advertisement

কল্লোল প্রামাণিক

করিমপুর শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৪
Share:

হাতে গোনা দু’এক জন খদ্দের। নিজস্ব চিত্র

র্গাপুজো এক্কেবারে দোরগোড়ায়। মাঝে আর একটি মাস। তবুও পুজোর বাজারে ক্রেতাদের ভিড় নেই। চিন্তায় রয়েছেন তেহট্ট মহকুমার ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে বস্ত্র বিক্রেতারা।

Advertisement

করিমপুরের বস্ত্র ব্যবসায়ীদের একাংশ জানান, আগে পুজোর দেড় দুই মাস আগে থেকেই নতুন জামা কাপড় কেনার ধুম পড়ে যেত। নতুন প্রজন্মের মধ্যে অনলাইন কেনাকাটার ঝোঁক বাড়ায় সেই ভিড়টা আর নেই। বর্তমানে ইদ কিংবা পুজোর আগে হাতেগোনা কয়েকদিন দোকানে ক্রেতারা ভিড় করে। এ বারের রমজানের ইদে ভাল বিক্রি হলেও কুরবানি ইদের বাজার খুব খারাপ ছিল। ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন, পুজোর বাজারে তা পুষিয়ে নেবেন। কিন্তু পুজোর ত্রিশ দিন আগেও কেনাকাটা শুরু না হওয়ায় সকলেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

বস্ত্র ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ বলেন, ‘‘পুজোর নতুন পোশাক দোকানে মজুত করা হয়ে গিয়েছে। এ বারের বাজারে মহিলাদের জন্য ‘হিট’ পোশাক ‘ফ্লোর লেন্থ গাউন’ বা ‘লং গাউন’। এ ছাড়া চিরাচরিত সিল্কের শাড়ির বাজার ছেয়েছে। অনেকে ভাদ্র মাসে বস্ত্র কেনাকাটা করেন না। তাই ব্যবসায়ীরা আশ্বিন মাসের দিকে তাকিয়ে আছি। আশা করা যায় আগামী সোমবার থেকে বেচাকেনা কিছুটা বাড়বে।’’

Advertisement

তবে পাটের দাম এখনও তেমন না ওঠায় কেনাকাটা করতে পারছেন চাষিরা। তাঁরা জানান, পাটের দাম ও বিক্রির উপর নির্ভর করে তাঁদের পুজোর বাজার। এ বার জলের অভাবে অনেকে জমির পাট কেটেও জাঁক দিতে পারেননি। আবার এখন কুইন্টাল পিছু পাটের দামও প্রায় তিন হাজারের আশেপাশে। ফলে পাট ঘরে না উঠলে এবং দাম না বাড়লে পুজোর বাজার জমবে না। হোগলবেড়িয়ার চাষি উত্তম মণ্ডলের কথায়, “ধান উঠবে সেই কার্তিক-অগ্রহায়ণে। তাই ছেলেমেয়েদের নতুন জামাকাপড় কেনার জন্য পাট বিক্রির উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু সেই পাটের ভাল দাম মিলছে না।’’

একই অবস্থা তেহট্টের বেতাই, পলাশিপাড়া কিংবা তেহট্ট বাজারের। পলাশিপাড়ার বস্ত্র ব্যবসায়ী রকেট সরকার ও বিশ্বজিৎ দেবনাথ জানান, “অনলাইনে কেনাকাটায় প্রভাব পড়েছে দোকানিদের উপর। বাঙালির বড় পুজো দুর্গাপুজোর আর কয়েক দিন বাকি। এখনও সেই ভাবে পুজোর কেনাবেচা শুরু হয়নি। এলাকায় কিছু শপিংমল তৈরি হওয়ায় ছোট দোকানে খরিদ্দার কমে গিয়েছে।”

বেতাই বাজারের একটি ফ্যাশন শপের ম্যানেজার ধনপতি বিশ্বাসের জানান, অনলাইনে ঘরে বসে মাল কেনার সুবিধা রয়েছে। আবার পছন্দ না হলে পাল্টানোর ব্যবস্থা রয়েছে। তাই অনেকে দোকানমুখী হচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘‘তাই অনলাইনে কেনাকাটার কারণে একটু হলেও কমেছে দোকানের কেনাবেচা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement