—প্রতীকী ছবি।
নদিয়ার তেহট্টে সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয় পেল বামেরা। মৃগী কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ওই নির্বাচনে সিংহভাগ আসনে জয়ী হন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কোনও আসনেই প্রার্থী দিতে পারেনি শাসকদল তৃণমূল। তাদের দাবি, এই সমবায়ের সকল ভোটারই দীর্ঘ দিন ধরেই বামেদের সঙ্গে যুক্ত। সিপিএম অবশ্য এই জয়কে বামপন্থী মতাদর্শের প্রতি আস্থা হিসাবেই দেখতে চাইছে।
তেহট্ট ১ ব্লকের ছিটকা পঞ্চায়েতের মৃগী কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে মোট ৬২টি আসন রয়েছে। ভোটার সংখ্যা ১৬০৮ জন। আগেই ১৮ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি ৪৪টি আসনে সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে লড়াই হয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ছিটকা পঞ্চায়েতে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। তারা এই সমবায় দখলের ব্যাপারে কার্যত আশাবাদীই ছিল। কিন্তু রবিবার নির্বাচনের শেষে ফলাফল দেখা যায়, ৬২টি আসনের মধ্যে সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন ৫০টি আসনে। আর বিজেপি সমর্থিতেরা জয়ী হয়েছেন ১২টি আসনে। শুধু তা-ই নয়, যে ক’টি আসনে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, সেখানেও জয়ের ব্যবধান অত্যন্ত কম।
এই সমবায় নির্বাচনে একটি আসনেও প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, ‘‘প্রার্থী দেওয়া হয়নি, এমনটা নয়। আসলে সমবায়গুলিতে সিপিএম তাদের নিজেদের আত্মীয়স্বজনকে ভোটার করে রেখেছে। ফলে সেখানে আমাদের প্রার্থী দেওয়া, না-দেওয়া সমান। তা ছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে ছিটকা গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের ভরাডুবি হয়েছে।” নদিয়া জেলা উত্তর বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘সমবায়ে ভোটার সব সিপিএমের ছিল। সেখান থেকে আমরা ৪৪টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছি। মানুষ ধীরে ধীরে আমাদের ভরসা করছেন।’’ এই জয় নিয়ে স্থানীয় বাম নেতা শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘বাম প্রগতিশীল আদর্শের প্রতি ভোটারদের আস্থা ফিরছে। সমবায়ের এই বিপুল জয় বামেদের দীর্ঘ মেয়াদী আন্দোলনের ফল।’’