কংগ্রেসের ধস চলছেই। মাস কয়েক আগে কান্দিতে কংগ্রেস কাউন্সিলরদের দলে টেনেছিল তৃণমূল। এ বার সেই একই কায়দায় ধুলিয়ান পুরসভায় কংগ্রেস কাউন্সিলরদের ভাঙাতে চাইছে শাসকদল। জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক হওয়ার পরেই শুভেন্দু অধিকারী কংগ্রেসকে ভাঙার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। দেখা যাচ্ছে সেই মতো বিভিন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের রক্তক্ষরণ চলছে। সেই তালিকাতেই সর্বশেষ সংযোজন ধুলিয়ান। অবশ্য ইতিমধ্যেই ধুলিয়ান পুরসভায় ক্ষমতাসীন রয়েছে তৃণমূল
গত ২২ মে ধুলিয়ান পুরসভার তিন কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ওই পুরসভার আরও দুই কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। ধুলিয়ান পুরসভায় কংগ্রেসের কাউন্সিলের কাউন্সিলর সংখ্যা আট। কংগ্রেসের দাবি, শাসকদলের নেতাদের নানা চাপে সিংহভাগ কাউন্সিলরই দল বদলাতে চাইছে। তাঁরা পরিস্থিতির শিকার।
সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে সামসেরগঞ্জে জিতেছে তৃণমূল। রবিবার ধুলিয়ানে বিজয় মিছিল করে তৃণমূল। মিছিলে ছিলেন সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক তৃণমূলের আমিরুল ইসলাম, পুরপ্রধান সুবল সাহা ও ১৬ জন কাউন্সিলর। এই মিছিলের পর সামশেরগঞ্জে কংগ্রেস ও সিপিএমের কোনও অস্তিত্বই থাকবে না বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের ধুলিয়ান শহর তৃণমূল সভাপতি মেহেবুব আলম। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর, ইয়াসিন শেখ ও মোস্তফা শেখ ইতিমধ্যেই লিখিত ভাবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। পুরসভায় ২১টি ওয়ার্ডই আমাদের হাতে আসবে। সিপিএম- কংগ্রেস ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।’’
গত ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছেন সাকুল্যে ছ’জন কাউন্সিলর। সিপিএম, বিজেপি ও নির্দল কাউন্সিলরদের ভাঙিয়ে বোর্ড গড়ে তৃণমূল। পুরপ্রধান হন সুবল সাহা। বোর্ড গড়েও অবশ্য দল ভাঙানোর খেলা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে লক্ষ্য, কংগ্রেস কাউন্সিলরদের দলে টানা। পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের সফর আলি অবশ্য বলছেন, “নির্বাচনে ৮টি ওয়ার্ডে জিতেছে কংগ্রেস। এখন কাউন্সিলরদের ধরে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’’ সুবলবাবু বলেন “ধুলিয়ানে পুর উন্নয়নের কাজ জোরকদমে চলছে। অন্য দলের কাউন্সিলরার দলে দলে আমাদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন।’’ সমশেরগঞ্জে কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নুরুল খান বলেন, “কাউন্সিলররা দলবদল করলেও ভোটাররা তো দলেই থাকবেন।’’ দলবদল করতে চেয়ে আবেদনকারী দুই কংগ্রেস কাউন্সিলর অবশ্য এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।