প্রতীকী ছবি।
সিপিএমের টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে সোনারুদ্দিন শেখ নামে ওই ব্যক্তিকে অপহরণ করা হলেও এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও হদিস মেলেনি। এই অবস্থায় এ দিন বেলার দিকে নাকাশিপাড়া থানার সামনে শখানেক সিপিএম সমর্থক হাজির হন। বোর্ড গঠনের আগেই এই ঝামেলায় অনেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘এ তো কেবল শুরু হল। বোর্ড গঠনের সময়সীমা যত এগিয়ে আসবে ততই এমন ঘটনা ঘটতে থাকবে।’’
পনেরো আসনের বীরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসকদল তৃণমূল ৭টি আসনে জিতেছে। চারটি করে আসনে জয়ী হয়েছে সিপিএম ও বিজেপি। দুই বিরোধী দল জোট বেঁধে ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ার মৌখিক সিদ্ধান্ত নেয়।
এ দিকে মাত্র একটি আসনের জন্য বোর্ড গড়তে না পারার জন্য কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল মরিয়া হয়ে উঠছিল। সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, ওই পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থী সাবানা আসমিনের স্বামী পেশায় পার্শ্ব শিক্ষক। এ দিন তিনি সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ স্কুলে যাচ্ছিলেন। স্কুলের কাছ থেকে জনাকয়েক দুষ্কৃতী সোনারুদ্দিনকে গাড়িতে তুলে নেয়। রাস্তাতেই পড়ে থাকে মোটরবাইকটি।
ঘটনা জানাজানি হতেই সিপিএমের নেতৃত্ব থানায় যান। সিপিএমের নাকাশিপাড়া উত্তর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বসন্ত সরকার বলেন, ‘‘ওসি বলেছিলেন চার ঘণ্টার মধ্যে সোনারুদ্দিনকে ফিরিয়ে দেবে। সেই সময়সীমা অনেক আগেই পেরিয়েছে। ছাপ্পা ভোটের পর এ বার বোর্ড গড়ার জন্য অপহরণের পন্থাও নিয়েছে।’’
অপহৃতের স্ত্রী সাবানা আসমিন বলেন, ‘‘ফোন করে বলা হচ্ছে আমার স্বামীকে ওরা খুন করে ফেলবে। এ রাজ্যে তো দেখছি গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটেছে।’’
এই নিয়ে সারাদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে চাপানউতোর চলেছে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নাকাশিপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের কল্লোল খাঁ বলেন, ‘‘সিপিএম স্রেফ নাটক করছে। আমাদের লোকজন অপহরণের মতো ঘৃণ্য কাজ করে না।’’