কংগ্রেস, সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ

কয়েক’শো কর্মী-সহ দুই কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য ও সিপিএমের দুই দলীয় সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলেন। বৃহস্পতিবার সেই উপলক্ষে বহরমপুর ব্লকের দৌলতাবাদ থানা এলাকার ছয়ঘরি এলাকায় এক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে জেলা তৃণমূলের সভাপতি মান্নান হোসেন বলেন, “ছয়ঘরি পঞ্চায়েতের দু’ই কংগ্রেস সদস্য আবদুল হামিদ মণ্ডল এবং মঞ্জুলা বিবি এবং ছয়ঘরি অঞ্চল কমিটির সদস্য সিপিএমের আবদুল খলিল ও মকরম শেখ তৃণমূলে যোগ দিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৫ ০১:২০
Share:

দৌলতাবাদে তৃণমূলের সভায় মান্নান হোসেন। —নিজস্ব চিত্র।

কয়েক’শো কর্মী-সহ দুই কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য ও সিপিএমের দুই দলীয় সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলেন। বৃহস্পতিবার সেই উপলক্ষে বহরমপুর ব্লকের দৌলতাবাদ থানা এলাকার ছয়ঘরি এলাকায় এক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে জেলা তৃণমূলের সভাপতি মান্নান হোসেন বলেন, “ছয়ঘরি পঞ্চায়েতের দু’ই কংগ্রেস সদস্য আবদুল হামিদ মণ্ডল এবং মঞ্জুলা বিবি এবং ছয়ঘরি অঞ্চল কমিটির সদস্য সিপিএমের আবদুল খলিল ও মকরম শেখ তৃণমূলে যোগ দিলেন। এর ফলে ছয়ঘরি অঞ্চলে দল অনেক শক্তিশালী হবে।” এ দিন জেলা সভাপতি সকলের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।

Advertisement

এর আগে ২৮ মার্চ বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে প্রাক্তন জেলা ছাত্র ও যুব কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের সুকুমার অধিকারী তৃণমূলে যোগ দেন। এ দিনের যোগদান পর্বের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সুকুমারবাবুই। আবদুল হামিদ টানা পাঁচ বার কংগ্রেসের প্রতীকে ছয়ঘরি পঞ্চায়েতে জিতেছিলেন। ২০০৮-২০১৩ সাল পর্যন্ত পঞ্চায়েত প্রধানও ছিলেন তিনি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও জয়লাভ করেন। কেন দলবদল? তাঁর দাবি, “মুখে উন্নয়নের কথা বললেও কংগ্রেস মানুষের জন্য কোনও কাজ করে না। এলাকার যাবতীয় উন্নয়ন থমকে রয়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে শাসক দলে যোগ দিলাম।”

কংগ্রেসের দু’ই সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় অবশ্য ছয়ঘরি পঞ্চায়েতের ক্ষমতার বিন্যাসে কোনও হেরফের হবে না। গত নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতে ১৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২টি আসনে, কংগ্রেসের ৭টি, সিপিএম ৮টি এবং নির্দল একটি আসনে জয়ী হয়। তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে সিপিএম বোর্ড গঠন করে। প্রধান ও উপ-প্রধান হন যথাক্রমে সিপিএমের হান্নান আলি ও আয়েষা সুলতানা।

Advertisement

সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে আবদুল খলিল ও মকরম শেখ-এর তোপ, ‘‘এখন এলাকায় সিপিএমের সংগঠন তলানিতে ঠেকেছে। জেলা নেতৃত্বের কোনও নজর নেই। এই অবস্থায় দল করা সম্ভব ছিল না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement