নিজের দলেরই ও সিপিএমের আনা অনাস্থায় গদি টলমল কংগ্রেস প্রধানের। ডোমকলের রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। প্রধান কংগ্রেসের শামিমা বিবির বিরুদ্ধে দলের ৮ ও সিপিএমের ৪ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অনাস্থা আনেন। শুক্রবার ছিল তলবি সভা। সভায় ওই ১২ জন ছাড়া আর কোনও সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। ফলে ওই পঞ্চায়েত দখলে একধাপ এগিয়ে গেল তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, প্রধানের দুর্নীতি মেনে নিতে পারেনি সদস্যেরা। তাই এই অনাস্থা। যদিও ব্লক কংগ্রেসের দাবি, ভয় আর লোভ দেখিয়ে সদস্যদের কিনে নিয়েছে তৃণমূল। মানুষ নিবার্চনে এর জবাব দেবে। ডোমকলের বিডিও সোয়াং গ্যাটসো ভুটিয়া বলেন, ‘‘এ দিনের তলবি সভায় মোট ২৩ জনের মধ্যে ১২ জন সদস্য উপস্থিত ছিল। তবে সবায় উপস্থিত প্রিসাইডিং অফিসার রিপোর্ট দিলে তার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
অন্য দিকে, রঘুনাথগঞ্জে রঘুনাথগঞ্জ-১ পঞ্চায়েত সমিতিতে অনাস্থায় অপসারিত হলেন, সিপিএম সভাপতি রেখা ঘোষ। ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিএমের ১২ জন ও আরএসপির ১ জন মিলিয়ে সভাপতি হন রেখা ঘোষ। বাকি ৫ জন কংগ্রেসের। গত ১ জুন কংগ্রেসের ৫ জন, সিপিএমের ৫ জন ও আরএসপির ১ জন তৃণমূলে যোগ দেন, এরপরে সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। শুক্রবার তলবি সভায় অনাস্থা প্রস্তাব ১২-৬ ভোটে পাশ হয়। এর ফলে তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত সমিতি দখল এখন নেহাতই সময়ের অপেক্ষা।
দলবদল। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন পাঁচ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। শুক্রবার বড়ঞার কুরুন্নরুন গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। নির্বাচনে ১২ আসনের মধ্যে ছয়টি কংগ্রেস, পাঁচটি বামফ্রন্ট ও একটি তৃণমূল আসন পায়। পরে ছয় জন কংগ্রেস ও একজন তৃণমূল মিলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত গড়েন। প্রধান হন কংগ্রেসের শ্যামলী ঘোষ। তৃণমূলের নবকুমার ঘোষ উপ-প্রধান হন। পরে ওই পঞ্চায়েতে বামফ্রন্টের পাঁচজন ও কংগ্রেসের একজন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এ দিন বাকি পাঁচজন কংগ্রেসের সদস্য দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এর ফলে ওই পঞ্চায়েত বিরোধীশূন্য হল।