দলত্যাগী: শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কানাই মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে বিরোধী দলে ভাঙন থামছে না। ক্রমান্বয়ে কংগ্রেসের ঘর ভাঙার পরে কিছু দিন আগে বাম দুর্গেও ফাটল ধরিয়ে ছিল তৃণমূল। এ বার সেই তালিকায় সংযোজন ঘটল আরও একটি নামের। রবিবার, পরিবহণমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর সভায় রাজনীতির রং বদল করে তৃণমূলে যোগ দিলেন নবগ্রামের সিপিএম বিধায়ক কানাই মণ্ডল।
যা শুনে, মুর্শিদাবাদ জেলা সিপিএম সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কানাই দলের জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন, জেলা কৃষকসভার নেতা ছিলেন। এখন, ধান্দাবাজি করতে তৃণমূলে যোগ দিলেন!’’ তিনি জানান, দলের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র জন্য দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে তাঁকে এ দিনই বহিষ্কার করা হয়েছে। দলত্যাগি কানাই মন্ডল বলেন, ‘‘আমি মানুষের ভোটে জিতেছি, মানুষের জন্য কাজ করতে এবং সাধারন মানুষের উন্নয়নের জন্য এই দলত্যাগ।’’
কংগ্রেসের দখলে থাকা বিভিন্ন পুরপ্রধান থেকে পঞ্চায়েত স্তররে নেতা-কর্মী, বিধায়ক-সাংসদদের নাগাড়ে দল বদলের পরে কিছু দিন আগে এক বাম সাংসদ নাম লিখিয়েছিলেন তৃণমূলে। এ বার সেই তালিকায় উঠে এল এক বাম বিধায়কের নামও।
তৃণমূল নেত্রীর আশ্বাসের পরেও দল ভাঙানোর এই খেলা অব্যাহত থাকায় এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শাসক দলের মধ্যেই। দলের এক জেলা নেতা বলছেন, ‘‘এখন তো আদি তৃণমূলের চেয়ে দলবদল করা নব্য তৃমূলীদের সংখ্যাই দেখছি বেশি।’’
মুর্শিদাবাদ জেলার দশ কংগ্রেস বিধায়ক ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এ বার বাম বিধায়ককে দলে টেনে শুভেন্দু বলছেন, ‘‘এ দিন কানাই মন্ডল যোগ দেওয়ায় সংখ্যাটা এগারো হল। আস্তে আস্তে সকলেই যোগ দেবেন।’’