coronavirus

কোভিড ওয়ার্ডে কর্মীদের নাচে বিতর্ক

যাঁরা নাচ-গান করছেন, তাঁদের কেউ কেউ পিপিই কিট পরে নেই। এবং তাঁরা সকলেই কোভিড ওয়ার্ডের বাইরে থেকে এসেছেন।

Advertisement

অমিত মণ্ডল

কল্যাণী শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২১ ০৫:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

অসুস্থ করোনা রোগী নাচ-গান শুনতে চাইছেন না। তাঁরা রোগযন্ত্রণার মধ্যে একটু নিরিবিলি চাইছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। হাসপাতাল কর্মীরা তাঁদের গান শোনাতে আর নাচ দেখাতে মরিয়া। রোগীদের মন ভাল রাখার যাবতীয় দায়িত্ব স্বত:প্রণোদিত ভাবে তাঁরা নিজেদের ঘাড়ে তুলে নিয়েছেন। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনার বন্যা বয়েছে।

Advertisement

যদিও এই ভিডিওর সত্যতা আনন্দবাজার পত্রিকা যাচাই করেনি। তবে এই ঘটনা যে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে গত শনিবার ঘটেছে তা কার্যত স্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সুপার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই রকম আর যাতে না ঘটে ভবিষ্যতে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়শই এইরকম ছবি বা ভিডিও দেখা যায়। বিশ্বের বিভিন্ন হাসপাতালে কোথাও কোভিড রোগীর মনের জোর বাড়াতে বা আনন্দ দিতে নার্স বা চিকিৎসকেরা গান গাইছেন, কোথাও নিজেদের অবসাদ ও চাপ কাটাতে স্বাস্থ্য কর্মী বা চিকিৎসক পিপিই পরে নাচছেন। এই সবকিছুর উদ্দেশ্য অতি মহৎ। কিন্তু স্থান-কাল-পাত্র-পরিস্থিতিও বিচার করতে হয়। সেখানেই কল্যাণীর হাসপাতালে গোলমাল হয়েছে বলে চিকিৎসকদর একাংশের অভিযোগ, ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, ওয়ার্ডে দু’জন গুরুতর অসু্স্থ রোগী আছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন কর্মীদের গান, নাচ থামাতে বলছেন। তাঁর অস্বস্তি হচ্ছে। যিনি রোগীর দেখভাল করছেন তিনিও ওই কর্মীদের এই ব্যাপারেই সম্ভবত কিছু বলছেন। তার উপর যাঁরা যারা নাচ-গান করছেন, তাঁদের কেউ কেউ পিপিই কিট পরে নেই। এবং তাঁরা সকলেই কোভিড ওয়ার্ডের বাইরে থেকে এসেছেন।

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও সম্পর্কে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, ‘‘এরা হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী। ওঁরা কোভিড ওয়ার্ডের রোগীদের আনন্দ দিতে চেয়েছিলেন। তাই নাচ, গান করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, সেটা করার আগে রোগীরা সেটা চাইছেন কিনা বা তাঁদেরশারীরিক, মানসিক অবস্থা কেমন তা বিচার করা হবে না? তা ছাড়া হাসপাতালের ওয়ার্ডে এত উচ্চস্বরে গানও বা বাজানো হবে কেন? এই প্রশ্ন উঠেছে।

চিকিৎসকদের কয়েক জন আবার জানিয়েছেন, আসলে জেএনএম হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার মতো দশা। ওয়ার্ড নিয়ে বিস্তর অভিযোগ। ১০০ শয্যা নিয়ে কোভিড ওয়ার্ড চালু করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাত্র ১০টি ওয়ার্ড নিয়ে কোভিড ওয়ার্ড শুরু করতে পারা গিয়েছে। তাই নিজেদের ভাবমূর্তি ঠিক করতে তাঁরা এইরকম একটা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement