প্রতীকী চিত্র
কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনার ‘র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট’। বিগত সাত দিন ধরে জেলা জুড়ে পরীক্ষা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। স্বাস্থ্যকর্তাদের একটা অংশের দাবি, ‘কিট’ সরবরাহ কম থাকায় পরীক্ষা কমেছে। আবার অন্য অংশের দাবি, পরীক্ষা যত বেশি হচ্ছে তত করোনা-আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। তাই আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর জন্যই পরীক্ষা কমানো হচ্ছে। জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদেরই একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণত সরাসরি আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে বা করোনার মতো উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও যদি র্যাপি়ড অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে সেক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর অর্থাৎ লালারস কল্যাণী জেএনএম বা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। কিন্তু গোষ্ঠী সংক্রমণ বুঝতে সহায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট।
প্রতিদিন জেলা থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল, মহকুমা, গ্রামীণ, ব্লক ও স্টেট জেনারেল হাসপাতালে র্যাপিড টেস্টের ‘কোটা’ বেঁধে দেওয়া হয়। সপ্তাহখানেক আগেও যেখানে জেলা জুড়ে এই টেস্টের দৈনিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার সেখানে এখন তা কমিয়ে ৭৫০ করা হয়েছে। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে আগে যেখানে ৫০-৫৫ পরীক্ষা হত সেখানে এখন হচ্ছে ২৫-৩০টি।
নদিয়া জেলার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়তে শুরু করেছে। এক-এক দিন এমনও হয়েছে যে, নতুন আক্রান্ত ১০০ পার করে ফেলছে। তার পরেও পরীক্ষা কমল কেন? জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তার দাবি, “পরীক্ষার কিট পাঠানো কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ পাঠানো হয়েছে এ সপ্তাহে।’’ যদিও স্বাস্থ্য কর্তাদের অন্য অংশ জানাচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে দেখাতেই এই সিদ্ধান্ত। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “রাজ্য থেকে যেমন লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে সেই অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে র্যাপিড টেস্ট হচ্ছে। এর সঙ্গে কিটের কোনও সম্পর্ক নেই।”