BDO

করোনায় সংক্রমিত যুগ্ম বিডিও, দফতরে কাজ বন্ধ

ঘটনার পর থেকেই কার্যত শুনশান বিডিও অফিস। গরহাজির অফিসের বাকি কর্মীরাও। বিডিওর পর জয়েন্ট বিডিও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে অফিসের অন্য কর্মী ও স্থানীয়দের একাংশের মনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নওদা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৩৬
Share:

প্রতীকী চিত্র

করোনা আক্রান্ত হয়ে বিডিও মারা যাওয়ার পর দু’সপ্তাহের মাথায় ফের করোনা আক্রান্ত জয়েন্ট বিডিও। শিকেয় উঠেছে বিডিও অফিসের যাবতীয় কাজকর্ম। বিভিন্ন পরিষেবা নিতে এসে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গত ৩০ অগস্ট করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান নওদার বিডিও কৃষ্ণ চন্দ্র দাস। তারপর বিডিওর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন ব্লকের জয়েন্ট বিডিও রজতকুমার বলিদা। লালারস পরীক্ষার পরে মঙ্গলবার রিপোর্ট আসে তিনি করোনা পজ়িটিভ। বুধবার তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনার পর থেকেই কার্যত শুনশান বিডিও অফিস। গরহাজির অফিসের বাকি কর্মীরাও। বিডিওর পর জয়েন্ট বিডিও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে অফিসের অন্য কর্মী ও স্থানীয়দের একাংশের মনে। জানা গিয়েছে সোমবার পর্যন্ত ব্লকের যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। আর এতেই নাকাল হচ্ছেন এক শ্রেণির মানুষ। বৃহস্পতিবার মহালয়া উপলক্ষে অফিস ছুটি থাকলেও বুধবার থেকেই ভোগান্তি শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষের। আগামী সোমবার বিয়ে দমদমার গ্রামের এক তরুণীর। দাদার সাথে বুধবার তিনি বিডিও অফিসে এসেছিলেন রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন জমা দিতে। কিন্তু অফিসে আবেদন জমা নেওয়ার মত কেউ না থাকায় তাকে ফিরতে হয়। সাহিনা আজমি নামে ওই তরুণী বলেন, ‘‘রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন জমা করার জন্য গত দু'দিন ধরেই ঘুরছি। আর কয়েকটা দিন পরেই বিয়ে। আবেদন পত্র জমা দিতেই পারলাম না। রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাব কি-না বুঝতে পারছি না।’’

এদিন দুর্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা আকসাদ মোল্লা এসেছিলেন খাদ্য সুরক্ষা তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন পত্র জমা দিতে। অন্য কর্মীরা না থাকায় আবেদন পত্র জমা দিতে পারেননি তিনিও। বিডিও অফিসের এক কর্মী বলেন, ‘‘আমরাও ওদেই দু’জনের সঙ্গে মেলামেশা করেছি। জানি না আমাদের কি হবে।’’ বিডিও অফিসের সমস্ত কর্মী, পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত সদস্যদের ফের লালারস পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘আগামী সোমবার থেকে যাতে বিডিও অফিসের যাবতীয় কাজকর্ম স্বাভাবিক ভাবে হয়, সে জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।’’ সদর মহকুমা শাসক দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ যাতে পরিষেবা পান তার জন্য আপাতত হরিহরপাড়ার বিডিওকে নওদা ব্লকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement