প্রতীকী চিত্র
করোনার ভয় কাটাতে একাধিক শিবির করে পরীক্ষা শুরু করাতেই সংক্রমণের গ্রাফে নেমে এল শমসেরগঞ্জ ও ফরাক্কা ব্লক। এখনও বহরমপুর পুরসভা জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪৩। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে রঘুনাথগঞ্জের দুটি ব্লক। রঘুনাথঞ্জ ১ ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪৩, জেলার মধ্যে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। রঘুনাথগঞ্জ ২ রয়েছে চতুর্থ স্থানে, সংক্রমণের সংখ্যা ২৪৫।জেলায় করোনা সংক্রমণের শুরুতে শীর্ষে থেকে আতঙ্ক ধরিয়েছিল দুই ব্লক শমসেরগঞ্জ ও ফরাক্কা। এখন স্বস্তির নিশ্বাস। শীর্ষস্থান থেকে পরিস্থিতি সামলে চলে যেতে পেরেছে অনেকটাই নীচের সারিতে। জুলাই মাসে জেলার মধ্যে সব চেয়ে উপরে ছিল ফরাক্কা। শমসেরগঞ্জ ছিল চতুর্থ স্থানে, অগস্টে ফরাক্কা নেমে আসে পঞ্চম স্থানে, শমসেরগঞ্জ অষ্টমে। ২৫ অগষ্ট ফরাক্কায় সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৯৬ এবং শমসেরগঞ্জে ৬৯।আর ২১ সেপ্টেম্বর ফরাক্কা নেমেছে সপ্তমে আর শমসেরঞ্জ নেমে এসেছে ২৬ টি ব্লক ও ৮টি পুরসভা মিলিয়ে ৩৪-এর মধ্যে ৩০ তম স্থানে। সংক্রমণের সংখ্যা ৬৯।
ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের আশা দু’সপ্তাহের মধ্যে আরও অনেকটাই সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে পারবেন তারা। শমসেরগঞ্জের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তারিফ হোসেন বলছেন, “বেশি করে পরীক্ষা করিয়ে পজ়িটিভ কেসগুলিতে আইসোলেশনে রাখার কারণেই তা আর ছড়াতে পারেনি।’’যে রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লক মাত্র ১১ জনের পজিটিভ ধরা পড়ে পঞ্চদশ স্থানে ছিল ১৫ জুলাই, সেই রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লক অগস্টে গিয়েছে জেলায় দ্বিতীয় স্থানে। সংক্রমণের সংখ্যা ১২৫। ২০ সেপ্টেম্বর সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ৩৪৩।রঘুনাথগঞ্জ ২ ব্লক প্রথম দিকে ছিল সপ্তদশ স্থানে, সেই ব্লকের অবস্থান অগষ্টে ওঠে চতুর্থ স্থানে , সংক্রমণ ছিল ১০৮ জনের। ২০ সেপ্টেম্বর ওই ব্লকের আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪৫। রয়েছে চতুর্থ স্থানেই।স্বাস্থ্য দফতরের মতে, যে এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বেশি, মিছিল, সমাবেশের মাত্রা বেশি সংক্রমণ সেখানে বাড়বে সেটা স্বাভাবিক ঘটনা।
ফরাক্কা ও শমসেরগঞ্জে করোনা সংক্রমণ এক সময় উদ্বেগ বাড়িয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরের। শমসেরগঞ্জ থানাতেই ১৬ জনের বেশি সংক্রমিত। খোদ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ দুই চিকিৎসক, নার্স মিলিয়ে শমসেরগঞ্জ ব্লক হাসপাতালের সংক্রমণ ছিল ৮ জন। সংক্রমের সেই হারে রাশ টানা গিয়েছে, তাতেই স্বস্তি। বহরমপুর নিয়ে এক চিকিতসক বলছেন, “জেলায় ১৫ জুলাই বহরমপুর পুরসভায় সংক্রমণ ছিল ২৭,সেই বহরমপুর পুরসভা এখন জেলায় শীর্ষে , সংক্রমণের সংখ্যা ৪৪৩ জন। অথচ বহরমপুর পুর এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিক নেই বললেই চলে।’’ যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাসের কথা, “জেলা সদর হলেই তো হবে না এলাকায় সচেতনতা দরকার। সেটার অভাবেই বহরমপুরের এই অবস্থা। জেলা সদরের মানুষকে সতর্ক হতে হবে আরও বেশি ।”