প্রতীকী ছবি।
পুজোর প্রাক মুহূর্তে বাজারগুলিতে ভিড় জমেছিল। আনাজ বাজার থেকে পোশাকের বাজারে ভিড় ছিল। পুজোর দিনগুলিতেও হাইকোর্টের নির্দেশকে উপেক্ষা করে মণ্ডপগুলিতে দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছিলেন। যা দেখে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন করোনা সংক্রমণ বাড়াতে পারে। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব বলছে, পুজোর আগের সপ্তাহ ও পুজোর সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের হার প্রায় একই রকম ছিল। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পুজোর আগের সপ্তাহে (১৩-১৯ অক্টোবর) জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ছিল ৪.৯৫ শতাংশ। সেখানে পুজোর মধ্যে সপ্তাহ (২০-২৬ অক্টোবর) করোনা সংক্রমণের হার ছিল ৪.৫ শতাংশ। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘পুজোর আগের সপ্তাহ এবং পুজোর সময়ের সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের হারের খুব একটা পার্থক্য নেই। ওই দুই সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের হার প্রায় একই। তবে পুজোয় সময়ে করোনায় প্রভাব পড়েছে কি না তা বুঝতে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগবে।’’ জেলায় প্রথম থেকে এ পর্যন্ত ৮৭ শতাংশ করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন। করোনায় মৃত্যুর হার ১.০১ শতাংশ।
তবে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুত রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরও। জেলায় দুটি করোনা হাসপাতাল রয়েছে। যার শয্যা সংখ্যা ৪০০টি। ওই দুটি হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২৮০-৩০০টি শয্যা ফাঁকা থাকে। মাতৃসদনে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য ১৪শয্যার এইচডিইউ ইউনিট ছিল। নতুন করে ২৪ শয্যার আরও একটি নতুন ইউনিট চালু করা হয়েছে। ২৫জন চিকিৎসক, ৪১ জন নার্সকে মাতৃসদন করোনা হাসপাতালের জন্য পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার ১৪ দিনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই অনুযায়ী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণের বিষয়টি সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অমিয়কুমার বেরা বলেন, ‘‘সংক্রমণ বাড়লে তা সামাল দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত।’’
করোনা বৃত্তান্ত
পুজোর আগের সপ্তাহ
১৩-১৯ অক্টোবর
পরীক্ষা ১২৯৫৬
পজ়িটিভ ৬৪২ (৪.৯ %)
সুস্থ ৫২১
মৃত ৫
পুজোর মধ্যে
২০-২৬ অক্টোবর
পরীক্ষা ১২৮৬১
পজ়িটিভ ৫৮৫(৪.৫ %)
সুস্থ ৫৬৬
মৃত ৬