ক্লাবের দখল নিতে বোমা ফাটানোর অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ বুধবার রাতে কান্দি শহরের পেট্রল পাম্প রোডে অ্যাথলেটিক্স ক্লাবের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ক্লাবে এক সময় কংগ্রেস সদস্যদের সংখ্যাধিক্য ছিল। কিন্তু বছর খানেক ধরে সেই সমীকরণে বদল ঘটেছে। এখন ক্লাবের দেড়শো জন সদস্যের মধ্যে বেশিরভাগই এলাকার পরিচিত তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক। বছর খানেক আগে ক্লাবের সম্পাদকের পদ থেকে সাবির হোসেন অপসৃত হন। তিনি এলাকায় কংগ্রেস কর্মী হিসেবেই পরিচিত। অভিযোগ, এ দিন রাতে সাবির হোসেন ক্লাবের ক্লাবের সহ-সম্পাদক হাবিবউল্লা শেখ ও নিরাজুল শেখকে মারধর করে। পরে ক্লাবে দু’টি বোমা ফাটায় সে। যদিও বোমাতে কেউ হতাহত হননি। তবে মারধরে জখম হয়েছেন ওই দু’জন। তাঁরা কান্দি মহকুমা হাসপতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই ক্লাবের অধিকাংশ সদস্য তাদের সমর্থক। তাই কংগ্রেসকর্মী সাবির হোসেন ক্লাবের দখল নেওয়ার জন্য বোমাবাজি করেছে।
ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর স্বাধীনতা দিবস পালনের নামে করে সাবির ক্লাবের ১৫ হাজার টাকা নয়ছয় করে। সেই অভিযোগে ক্লাবের বেশির ভাগ সদস্যেরা ভোটাভুটির মাধ্যমে সম্পাদকের পদ থেকে সাবিরকে সরিয়ে দেন। ক্লাবের নতুন সম্পাদক নির্বাচিত হন মনসুর শেখ। এলাকায় তিনি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত।
কান্দি শহর ও আশেপাশের এলাকার মধ্যে ওই ক্লাবের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। শরীরচর্চা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে বছরভর ক্লাবটি জড়িত থাকে। এ দিন রাতে সেই ক্লাবেই ক্লাবে বোমা ফাটার ঘটনায় শহরের বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
সম্পাদক মনসুর শেখ বলেন, “এতে ক্লাবের সুনাম বিঘ্নিত হল। ঘটনায় ক্লাবের যে সুনাম ছিল, তাতে কালিমালিপ্ত হল। ক্লাবের সিংহভাগ সদস্যই তৃণমূল কর্মী। তাই সাবিরের কথা ক্লাবে বেশি খাটত না। পাশাপাশি ক্লাবের টাকা নয়ছয় করার কারণে সম্পাদকের পদ থেকে সাবিরকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে দিশেহারা হয়ে সে ক্লাবে বোমা ফাটিয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সাবির পলাতক। তার সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে বোমাবাজি করার মিথ্যা অভিযোগ করছে শাসকদল। আর তাতে মদত দিচ্ছে পুলিশ।’’
কান্দি শহর ও ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, “কংগ্রেস পায়ের তলায় মাটি হারিয়ে ফেলে জোর করে ওই ক্লাব দখল করতে চাইছে।’’