ফাইল চিত্র।
দলের বিধায়ককে বাদ দিয়েই হল কর্মী সম্মেলন। আরেক বার তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকে স্পষ্ট করে উপস্থিত থাকলেন না পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থেকে একাধিক কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্য। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের অনেকে বয়কট করলেন জেলা নেতৃত্বের ডাকা কর্মসূচি। যা আবারও প্রমাণ করল যে, চাপড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল সহজে মেটার নয়।
রবিবার চাপড়ায় কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছিল চাপড়া ব্লক নেতৃত্ব। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলার নেতারা। কিন্তু উপস্থিত থাকলেন না একেবারে নীচের স্তরের কর্মীদের একটা বড় অংশ। যা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কর্মীদেরই একটা অংশের প্রশ্ন, “ভোট করাবেন কিন্তু নীচের স্তরের নেতৃত্বই। বড় নেতারা নন। ফলে তাঁরা সরে গেলে দল সমস্যায় পড়বে।”
চাপড়ায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জেবের শেখের সঙ্গে বিধায়ক রুকবানুর রহমানের বিরোধ দীর্ঘ দিনের। আগে তা অন্তরালে চলত, কিন্তু জেলা নেতৃত্ব বদলের পর সেই বিরোধ চরম আকার নেয় ও প্রকাশ্যে এসে পড়ে। বিধায়কের পাশাপাশি কর্মিসভা কার্যত বয়কট করলেন বহু নেতাকর্মী। রুকবানুর রহমানের ঘনিষ্ঠদের দাবি, এ দিন বিধায়কের পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ ১৭ জন সদস্য ও চার জন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ৯৩ জন সদস্য কর্মিসভায় যান নি। এর বাইরেও শাখা সংগঠনের ব্লক সভাপতি ও সংগঠনের একাধিক পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন না বলে দাবি।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন মণ্ডল বলছেন, “কর্মিসভায় আমার যাওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু চাপড়ায় দলের মধ্যে যে বিভাজন হয়ে আছে তাতে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, কোনও গোষ্ঠীর কোনও কর্মসূচিতেই আমি যাব না।” রুকবানুর রহমান বলছেন, “আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় আমাকে প্রথম ফোন করে বলা হয়েছে। তা-ও তা না-বলার মতো।” তাঁর কথায়, “আমি চিকিৎসার কারণে যেতে পারছি না। আগে জানতে পারলে ব্যবস্থা হয়তো করতে পারতাম।পারতাম।” যদিও ব্লক সভাপতি জেবের শেখ বলছেন, “সবাইকেই বলা হয়েছে। বিধায়ককে আমি নিজে ফোন করে আসতে বলেছি। কারা কী বলছেন জানি না, তবে আমাদের দল ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।”