ক্লাস চলছে চায়ের দোকানের মাচায়। নতুন স্বরূপপুরে। নিজস্ব চিত্র
শিশুশিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। রয়েছে পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা, এমনকি ভবনও। তার পরেও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার রাস্তা বন্ধ থাকায় পড়ুয়ারা কখনও ক্লাস করছে গাছতলায়, কখনও কারও বাড়ির বারান্দায় কখনও আবার চায়ের দোকানের মাচায়।
হরিহরপাড়ার নতুন স্বরূপপুরের ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক আব্দুল জাব্বার বলছেন, ‘‘স্কুলে ঢোকার রাস্তা না রেখেই তৈরি হয়েছে ক্লাব। সেই কারণেই এমন বিপত্তি।’’ প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে হরিহরপাড়ার নতুন স্বরূপপুর এলাকায় তৈরি হয় শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি। হরিহরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দানের জমিতেই গড়ে ওঠে স্কুল ভবন। স্কুলের সামনে গড়ে ওঠে একটি ক্লাব ঘরও।
সম্প্রতি স্কুলের তিন দিকের জায়গার মালিকেরা নিজেদের জায়গায় বাড়ি তৈরি করেন। তার পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার রাস্তা। ওই কেন্দ্রে রয়েছেন চার জন সহায়ক-সহায়িকা ও সত্তর জন পড়ুয়া। শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকা মাফুজা খাতুন বলেন, ‘‘আগে একশোরও বেশি পড়ুয়া ছিল। গাছতলায়, চায়ের দোকানের মাচায় ক্লাস হওয়ার কারণে এবং মিডডে মিল বন্ধ থাকায় বহু পড়ুয়া অন্য কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছে।’’
স্থানীয় স্বরূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমিনুল হাসান বলেন, ‘‘ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বার আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়, ক্লাবের সিঁড়ির অংশ ভেঙে দিয়ে স্কুলে ঢোকার রাস্তা তৈরি করা হবে। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ তা করেননি। পঞ্চায়েতের তরফে একাধিক বার ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠালেও তাঁরা কোনও কর্ণপাত করেননি।’’
ক্লাবের সম্পাদক খোরসেদুল ইসলাম বলেন, ‘‘স্কুল এবং ক্লাব নিজেদের জায়গাতেই আছে। পাশের জমির মালিক পঞ্চায়েত আইন না মেনে জায়গা না ছেড়ে বাড়ি তৈরি করায় বন্ধ হয়েছে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার রাস্তা।’’ হরিহরপাড়ার বিডিও পুর্ণেন্দু সান্যালের আশ্বাস, ‘‘দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে।’’