নজরুল ইসলাম এবং বনতোষ ঘোষ।
বেলডাঙা ১ ব্লক (উত্তর) তৃণমূল সভাপতি ও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে আগেই, ভোটের ঠিক আগে সেই বিরোধ বেড়েছে। তৃণমূল সূত্রের দাবি, বেলডাঙা ১ ব্লক (উত্তর) সভাপতি বনতোষ ঘোষ ভোটের আগে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলামকে সরানোর ঘুঁটি চেলেছেন। সেখানে রেজিনগরের বিধায়ক তৃণমূলের রবিউল আলম চৌধুরীর পুত্র জামিল চৌধুরীকে তুলে নিয়ে আসার চেষ্টা হচ্ছে।
নজরুল বলেন, “বেলডাঙা ১ ব্লক উত্তর তৃণমূলের সভাপতি বিভিন্ন ভাবে দুর্নীতির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। দলের পদ দেওয়ার ক্ষেত্রেও তা চলছে। ফলে আগামী ভোটে বেলডাঙা ১ ব্লকের নওদা বিধানসভার অন্তর্গত চারটে পঞ্চায়েত এলাকায় দল সমস্যায় পড়তে পারে।” আপনি কি পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন? নজরুলের জবাব, “আমার ইচ্ছা, দলের অনুমতি পেলে, আমার নিজস্ব এলাকায় জেলা পরিষদের ৬৭ নম্বর আসনে প্রার্থী হতে আমার কোনও অসুবিধা নেই।”
উত্তরে বনতোষ বলেন, “অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। দলের পদ রাজ্য স্তর থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। দলের ফলাফল কেমন হবে তা ভোটের ফল বেরোলেই সকলে দেখতে পাবে। ফলে কে কী বললেন তাতে কিছু এসে যায় না।”
এর মধ্যে তৃণমূল সূত্রের খবর, তৃণমূলে টিকিট পাবেন না ভেবে নজরুল ইসলাম কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীর পুত্র জামিল চৌধুরী বর্তমানে সামাজিক ও রাজনৈতিক মঞ্চে দেখা যাচ্ছে। তিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। বনতোষ ঘোষ বলেন, “তাঁর (জামিল চৌধুরী) যোগ্যতা রয়েছে। তাঁর রাজনৈতিক ভিত্তি রয়েছে। ফলে দল অনুমতি দিলে তিনি প্রার্থী হতেই পারেন।” বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, “জামিল রাজনীতিতে সাবলম্বী। সে রাজনীতির থেকে সামাজিক কাজ বেশি করছে। ফলে দল মনে করলে তাকে প্রার্থী করতেই পারে। এতে বলার কিছু নেই।”