কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন জঙ্গিপুরের লালখান্দিয়ার সঞ্জয় মণ্ডল। পুলিশ ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। মৃত সঞ্জয়ের দাদা সহদেব মণ্ডলের আবেদনের ভিত্তিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারের কাছে সঞ্জয়ের মৃত্যু নিয়ে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট তলব করেছেন। হাইকোর্টের এই নির্দেশে খুশি হলেও আবেদনকারী সহদেব মণ্ডলের আশঙ্কা রঘুনাথগঞ্জ পুলিশের হাতে ভাইয়ের মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্ব থাকলে সে তদন্ত ভাল ভাবে হবে না। তিনি বলেন, ‘‘আদালতের কাছে এ বার সিআইডি তদন্তের দাবি জানাব।’’
কিন্তু কেন স্থানীয় পুলিশের তদন্তে তাঁর অনাস্থা? তার যথাযথ ব্যাখ্যা মেলেনি। কীসের ভিত্তিতে ভাইকে খুনের দাবি করছেন মেলেনি সে ব্যাখ্যাও।
লালখান্দিয়ার গ্রামকে সকলেই কৃষি-প্রধান গ্রাম হিসেবে চেনেন। সহদেববাবুরদের পরিবারও কৃষিজীবী। প্রায় ৭ হাজার বাসিন্দার বিশাল এই গ্রামে পঞ্চায়েতের সদস্য রয়েছেন ৬ জন। এলাকার কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূল সব দলের নেতাদেরই ‘গুড বুকে’ রয়েছেন সহদেববাবুদের পরিবার। তাঁদের কাছে মৃত সঞ্জয় নির্বিরোধী ভাল ছেলে। তাই তাঁর মৃত্যুর ঘটনা সে সময় সকলকে যথেষ্ট নাড়া দিয়েছিল। কিন্তু কেন, কী ভাবে মৃত্যু তা এখনও রহস্যময় তাঁদের কাছেও। সহদেববাবু মনে করছেন সিআইডি তদন্ত হলে এর সদুত্তর মিলবে।