ট্রাক্টরে ক্ষোভের আগুন। ইনসেটে, অঙ্কুর। বুধবার চাকদহে। নিজস্ব চিত্র
স্কুলে যাওয়ার সময় মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হল সাড়ে পাঁচ বছর বয়সের এক শিশুর। চাকদহ থানার বাগডোব এলাকার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে দুর্ঘটনা ঘটার পর উত্তেজিত জনতা ট্রাক্টরটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুর নাম অঙ্কুর বিশ্বাস। সে শিলিন্দার একটি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওই শিশুর বাড়িতে যান দুবড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অন্নপূর্ণা বিশ্বাস। এলাকার মানুষের অভিযোগ, ওই এলাকায় ট্রাক্টরগুলি রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে। পুলিশ জানিয়েছে, অগ্নিদগ্ধ ট্রাক্টরটি আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে চালক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
চাকদহ ব্লকের দুবড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগডোব এলাকায় ঘোড়াঘাটা-চৌগাছা রাস্তার ধারে অঙ্কুরদের বাড়ি। সে বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। এ দিন সকাল ১১ টা নাগাদ স্কুলে যাবে বলে বাড়ির সামনে রাস্তার উপর দাঁড়িয়েছিল সে।
অভিযোগ, সেই সময় ট্রাক্টরটি এসে তাকে ধাক্কা মারে। বেগতিক বুঝে চালক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ওই ঘটনার জেরে উত্তেজিত জনতা ট্রাক্টরটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মৃতদেহ কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রসেনজিৎ হালদার বলেন, “অধিকাংশ সময় চালকরা মোবাইলে কথা বলতে বলতে স্টিয়ারিং না ধরে ট্রাক্টর চালায়। এদের অনেকের বয়স ১৮ হয়নি। সব কিছু জানা সত্ত্বেও কেউ কিছু না বলায় ওরা বেপরোয়া হয়ে গিয়েছে।”
দুবড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অন্নপূর্ণা বিশ্বাস বলেন, “পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকা মাত্রই খবরটা পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ছোট ছোট ছেলেরা গাড়ি চালায়। তাদের লাইসেন্স নেই। এ দিন যে গাড়ি চালাচ্ছিল বলে জানতে পারছি, তার বয়স মাত্র ১৬ বছর। ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।”