গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী জিল্লার রহমান। — নিজস্ব চিত্র।
শনিবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদে চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি এক জন। গুলিচালনার ঘটনায় অভিযুক্তরা অধরা। শনিবার রাত তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার নওদা থানার মধুপুরের ছ্যাবাতলা গ্রামে। কেন গুলি চলল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। খুব দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হবে বলে আশাবাদী পুলিশ।
গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে ব্যবসায়ীকে গুলি করার ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত তিনটে নাগাদ ছ্যাবাতলা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী জিল্লার রহমানের বাড়িতে ঢুকে পড়ে চার দুষ্কৃতী। প্রত্যেকের হাতেই ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। বাড়িতে ঢুকেই তাঁরা গুলি ছুড়তে শুরু করেন। মোট চারটি গুলি চালানো হয়, তার মধ্যে একটি গুলি লাগে জিল্লারের শরীরে। বাড়ির লোকজন ছুটে আসতে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়।
গুলিবিদ্ধ জিল্লারকে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। সেখানে অস্ত্রোপচার করে শরীর থেকে গুলি বার করেন চিকিৎসকেরা। পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর শরীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। জিল্লারকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে।
গুলিচালনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নওদা থানার পুলিশ। কে বা কারা গুলি চালাল, জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে জিল্লারের পরিবারের সদস্যদের। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল বলেন, ‘‘ভোরের আলো ফোটার আগে ঘটনা ঘটেছে। তাই একটু সময় লাগছে। তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হবে।’’
স্থানীয় সূত্রে দাবি, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে গুলি চলে। আবার অনেকেই দাবি করছেন, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা। আদতে কী ঘটেছে, তা তদন্তসাপেক্ষ। বেলডাঙ্গার স্থানীয় পাইকারি সব্জি বাজারে সব্জি নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির ভিতরে ঢুকে জিল্লারের উপরে আক্রমণ চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। দুষ্কৃতীরা জেল্লারের পরিচিত বলেও দাবি করছেন স্থানীয়রা। যদিও এ ব্যাপারে কিছু জানানোর মতো অবস্থায় জিল্লার নেই। তাই তাঁর সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় পুলিশ। শারীরিক পরিস্থিতি একটু ভাল হলেই তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।