কানে মোবাইল ধরে দোকানের এক কর্মীকে ফোনে ধরার চেষ্টা করছিলেন কৃষ্ণনগরের ব্যবসায়ী কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস। কিন্তু কোনও ভাবেই ফোন যাচ্ছে না। আসলে বিএসএনএলের পরিষেবা বিগড়ে গিয়েছে। আর ওই দোকান মালিক রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি যোগাযোগ সংস্থা বিএসএনএলের গ্রাহক। তাহলে ফোন যাবে কী ভাবে? শুক্রবার সকাল থেকেই বিএসএনএলের পরিষেবা বিগড়ে যায়।
গ্রাহকদের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই বিএসএনএলের পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। আর একবার বিগড়ে গেলে তা স্বাভাবিক হতে দিনভর লেগে যায়।
বিএসএনএলের নদিয়ার এজিএম অপূর্বকুমার দাস অবশ্য জানান, কিছু কারিগরি ক্রুটির জন্য পরিষেবা পেতে গ্রাহকদেক সমস্যা হয়েছিল। এ দিন সকাল থেকেই কৃষ্ণনগর শহরে বিএএসএনএলের নেটওয়ার্কের সমস্যা হতে শুরু করে। পরের দিকে করিমপুর, নবদ্বীপ, বেথুয়াডহরি, নাকাশিপাড়া, কালীগঞ্জ, রানাঘাট— সর্বত্রই নেটওয়ার্কের সমস্যা মালুম হতে থাকে। ফলে বেকায়দায় পড়ে যান গ্রাহকেরা। বিকেলের পর পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। নবদ্বীপ এবং করিমপুর এলাকায় মোবাইলের পাশাপাশি ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন গ্রাহকেরা। ফলে ওই সব এলাকায় ব্যাঙ্কের কাজকর্মও বিঘ্নিত হয়। করমিপুরের এক ব্যাঙ্ক কর্মী বলেন, ‘‘এ দিন সকালের দিকে ইন্টারনেট পরিষেবায় বিপত্তি দেখা দিয়েছিল। ফলে আমাদের কাজ করতে অসুবিধা হয়েছে।’’ গ্রাহকদের অভিযোগ, পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়া এখন নিয়মিত রুটিনে পরিনত হয়েছে। দিন তিনেক আগেও সমস্যা হয়েছিল। সেই রেশ মিটতে না মিটতে এ দিন আবার সেই একই সমস্যা।
নদিয়া জেলায় বিএসএনএলের ৬৫ হাজার মোবাইল গ্রাহক রয়েছেন। এ দিনের বিপত্তির কারনে সেই গ্রাহকেরা চরম সমস্যায় পড়েন।
জেলাতে বিএসএনএলের এই সমস্যা নতুন কিছু নয়। কখনও মোবাইল কখনও বা ব্রডব্যান্ড— বিপত্তি চলছেই। অন্য দিকে, এর সুযোগ নিচ্ছে বেসরকারি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি।
প্রশ্ন উঠছে, পুরোটাই কি যান্ত্রিক গোলযোগ?
গ্রাহকদের অভিযোগ, অন্তর্ঘাতের জন্যই বারবার এমনটা ঘটছে। তারজন্য অনেকে বিএসএনএলের পরিষেবা ছেড়ে দিয়ে বেসরকারি মোবাইল সংসাথার সংযোগ নিচ্ছেন।
যদিও তা মানতে নারাজ বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ।